আরও পড়ুন- MSME-দের জন্য ৬০০০ কোটির RAMP প্রকল্প চালু করলেন প্রধানমন্ত্রী; জানুন বিস্তারিত!
পেনি স্টক হল এমন একটি শেয়ার, যার দাম সাধারণত কম হয় কিংবা ১০ টাকারও কম হয়। এছাড়াও কোম্পানির বাজারও কম হয়। ৫০০ কোটির নিচে যেসব কোম্পানির মার্কেট ক্যাপিটাল আছে, তাদের এই বিভাগে রাখেন সমস্ত বিশেষজ্ঞরা। পেনি স্টকের সঙ্গে যুক্ত কোম্পানিগুলি সাধারণত ছোট হয়। এই কোম্পানিগুলির সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা খুবই কঠিন। তাই কোনও তথ্য ছাড়া এই ধরনের স্টকে বিনিয়োগ করা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।
advertisement
শেয়ারের দামে হেরফের:
বাজারে ট্রেড করার জন্য এই ধরনের শেয়ার সীমিত হয়। পেনি স্টক কোম্পানিগুলির বাজার পুঁজি করণ কম হওয়ায় সহজেই এর দামে হেরফের হতে দেখা যায়।
অপারেটরদের খেলা:
পেনি স্টকে বিনিয়োগ করার ফলে অনেক সময় প্রতারণার শিকার হয় বিনিয়োগকারীরা। প্রথমে অপারেটররা কম দামে একসঙ্গে বেশি শেয়ার কিনে নেয়, যার ফলে শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পেতে থাকে। আর শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে খুচরো বিনিয়োগকারীরাও এই ধরনের স্টকে বিনিয়োগ করে থাকে। এর পর যখন দাম অনেকটাই বেড়ে যায়, তখন অপারেটররা শেয়ার বিক্রি করতে শুরু করে। যার ফলে শেয়ারের দামও কমতে থাকে। কিন্তু লোয়ার সার্কিটের কারণে খুচরো বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করতে পারে না।
রিসার্চ প্রয়োজন:
যে-কোনও কোম্পানির স্টকে বিনিয়োগ করার আগে সেই কোম্পানি সম্পর্কে ভালো করে রিসার্চ করে নেওয়া উচিত। এই কোম্পানিগুলো খুবই ছোট হয়, তাই এই কোম্পানিগুলোর সম্পর্কে সহজে তথ্য পাওয়া সম্ভব হয় না। কোম্পানির প্রোডাক্ট, ভবিষ্যতে বৃদ্ধি, কর্মক্ষমতা এবং ব্যাকগ্রাউন্ড জেনে নেওয়ার পর তবেই সেই কোম্পানির স্টকে বিনিয়োগ করা উচিত।
আরও পড়ুন- Paytm আনল নয়া ফিচার Photo QR; কী সুবিধা, কীভাবে ব্যবহার করবেন জেনে নিন এখনই!
একসঙ্গে বেশি টাকা বিনিয়োগ করা উচিত নয়:
একসঙ্গে অনেক বেশি টাকা বিনিয়োগ করা উচিত নয়। পেনি স্টকগুলিতে ততটা বিনিয়োগ করতে হবে, যতটা হারালে তা সামাল দেওয়া যাবে। কারণ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সব সময় মাথায় রাখতে হবে যে, পেনি স্টকে ঝুঁকি বেশি। পেনি স্টকের দাম স্থিতিশীল হয় না, তাই বিনিয়োগ করার আগে মার্কেট বুঝে নিতে হবে। আর মার্কেট বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলা যেতে পারে।
মুনাফা পেলে টাকা তুলে নিতে হবে:
পেনি স্টকে দীর্ঘ সময়ের জন্য বিনিয়োগ করা একেবারেই উচিত নয়। এই সব শেয়ারের দাম যত দ্রুত বৃদ্ধি পায়, তত দ্রুত পতনও হয়। তাই এই ধরনের শেয়ার কেনার পর ভালো রিটার্ন পেলে শেয়ার বিক্রি করে দেওয়া উচিত। এ-ক্ষেত্রে চোখ বন্ধ করে কাউকে বিশ্বাস করা ঠিক নয়। ভালো করে যাচাই করে নিয়ে তবেই বিনিয়োগ করা উচিত।
