অনেক কাজেই ঋণ নেওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা ভাল ঋণ হবে না কি মন্দ ঋণ? সে বিষয়ে অনেকেরই কোনও ধারণা নেই। বিশেষজ্ঞরা এই সম্পর্কে কী বলছেন, সে সব খোলসা করা হল এখানে। একই সঙ্গে ঋণ নেওয়ার সময় কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হবে, সে সম্পর্কেও কিছু টিপস থাকল। পাশাপাশি যথাসময়ে ঋণ পরিশোধ না করলে কী কী ক্ষতি হতে পারে সে সম্পর্কেও বিস্তারিত জানানো হল এখানে।
advertisement
ভাল ঋণ, মন্দ ঋণ: জি বিজনেসে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে ‘হাম ফৌজি ইনিশিয়েটিভ’-এর সিইও কর্নেল সঞ্জীব গোভিলা এবং মানি মন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা বিরল ভাট ভাল এবং মন্দ ঋণের পার্থক্য ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, যে ঋণ, গ্রহীতার নেট মূল্য বৃদ্ধি করে সেটা ভাল ঋণ। এই ঋণ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গ্রহীতার নেট সম্পদ বাড়াতে সাহায্য করে। যেমন শিক্ষা ঋণ, ব্যবসার জন্য নেওয়া ঋণ কিংবা গৃহ ঋণ। অন্য দিকে, এমন কিছু ঋণ রয়েছে যেখানে ঋণের পরিমাণের চেয়ে বহুগুণ বেশি সুদ দিতে হয়। এটা মন্দ ঋণ। এতে ঋণদাতা এবং ঋণগ্রহীতা উভয়কেই কিছু না কিছু লোকসান বহন করতেই হয়। যেমন অটো লোন, ব্যক্তিগত লোন, ক্রেডিট কার্ড লোন ইত্যাদি।
আরও পড়ুন- দলে নেই কোনও পরিবর্তন, নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত ভারতের
আরও পড়ুন- মেসি বা রোনাল্ডোর হাতেই বিশ্বকাপ দেখতে চান সৌরভ, খাবারের সমস্যা মিটিয়ে দেবে বোর্ড নিশ্চিত দাদা
ঋণ নেওয়ার সময় কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হবে: ঋণ নেওয়ার আগে নিজেকে কিছু মৌলিক প্রশ্ন করা উচিত। যেমন এই ঋণ নেওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ? কতটা ঋণ নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে? কতটা ঋণ নেওয়া ঠিক? বিশেষজ্ঞরা বলেন, বেতন এবং ঋণের অনুপাত ৪০ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত নয়। গ্রহীতা কোথায় সস্তায় ঋণ পেতে পারেন সেটাও ভাল করে খোঁজ নিয়ে দেখা উচিত। ক্রেডিট স্কোর ভাল কি না সেটাও মাথায় রাখতে হবে। এছাড়াও মনে রাখতে হবে, এই ঋণ পুরো শোধ করতে হবে।
ক্রেডিট স্কোর: লোন নেওয়ার জন্য ৭৫০-৯০০ ক্রেডিট স্কোর সবচেয়ে ভাল। এই স্কোরের মাধ্যমে ঋণ পাওয়ার প্রক্রিয়া দ্রুততর হয়। এর পরে ৭০০-৭৪৯ একটি ভাল ক্রেডিট স্কোর। ৬৫০-৬৯৯ ক্রেডিট স্কোরকে মোটামুটি ধরা হয়। এর নিচে ক্রেডিট স্কোর খারাপ।