আরও পড়ুন- ৯ লাখের বিড়াল, ৫২ লাখের ঘোড়া! জ্যাকলিনকে কী কী 'উপহার' দিয়েছেন সুকেশ চন্দ্রশেখর?
নীল আধার বা বাল আধারের মূল বৈশিষ্ট্য
১. নীল আধার সাধারণ আধারের থেকে বিভিন্ন বিষয়েই আলাদা, কিন্তু সবচেয়ে বড়ো ফারাক হল এর জন্য শিশুদের বায়োমেট্রিক বিবরণের প্রয়োজন হয় না। নাম বিনামূল্যে নথিভুক্ত করা হয়।
advertisement
২. অভিভাবকদের অবশ্যই তাঁদের সন্তানের নাম রেজিস্ট্রেশনের জন্য একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে। শিশুদের পরিচয়ের নথি তৈরি করতে হবে, যেমন জন্ম শংসাপত্র বা হাসপাতালের ডিসচার্জ স্লিপ এবং একটি ছবি। UIDAI-এর মতে, অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানদের স্কুল আইডি ব্যবহার করেও নীল আধার কার্ডের জন্য নাম নথিভুক্ত করতে পারেন। বাল আধার বা নীল আধারের জন্য আবেদন করতে হলে বাবা মায়ের আধার তথ্যও প্রয়োজন।
৩. শিশুর বয়স পাঁচ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরে বাল আধার অবৈধ হয়ে যায়, কারণ বায়োমেট্রিক তথ্য যেমন দশটি আঙুলের বায়োমেট্রিক্স, চোখের মণি এবং পাঁচ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের মুখের ছবি UIDAI-এর ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে প্রয়োজন৷ এর পরে, ১৫ বছর বয়সে আরেকটি আপডেটের প্রয়োজন, যাও বিনামূল্যেই।
৪. ২০১৮ সালে সরকার নীল আধার কার্ড পরিষেবা চালু করেছিল, যার লক্ষ্য হল পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের জনসংখ্যার হিসেব রাখা।
আরও পড়ুন- আদালতে আঞ্চলিক ভাষাকে গুরুত্ব দিতে হবে: প্রধান বিচারপতিদের জানালেন নরেন্দ্র মোদি
বাল আধার কার্ড বা নীল আধার কার্ডের জন্য কীভাবে আবেদন করবেন?
ধাপ ১: বাবা মায়ের আধার কার্ড, সন্তানের জন্ম শংসাপত্র এবং ঠিকানার প্রমাণের মতো সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি প্রয়োজন।
ধাপ ২: নীল আধারের জন্য নাম নথিভুক্ত করতে একটি আধার পরিষেবা কেন্দ্রে যেতে হবে, তাই নিকটতম কিয়স্কে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করুন। সরাসরিও যেতে পারেন।
ধাপ ৩: আপনাকে নিজের আধার কার্ডটি দিতে বলা হবে কারণ বাবা মায়ের আধার সন্তানের UID-এর সঙ্গে লিঙ্ক করা হবে। আপনাকে একটি ফোন নম্বরও দিতে হবে, যার অধীনে নীল আধার কার্ড দেওয়া হবে।
ধাপ ৪: সবটা হয়ে গেলে, নীল আধারের জন্য আধার তালিকাভুক্তি কেন্দ্রে আপনার সন্তানের একটি ছবি তোলা হবে।
ধাপ ৫: সমস্ত নথি যাচাই করার পরে, যাচাই করা সম্পূর্ণ হলে মেসেজ পাবেন। নীল আধার বা বাল আধার কার্ড ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে শিশুর আধার কার্ড পেয়ে যাবেন।