আর বিক্রিরও সুবিধা রয়েছে কোলাঘাট সহ আশেপাশের বিভিন্ন হাটেবাজারে কাজেই সবদিকের সুবিধা বিবেচনা করেই সাধারণ চাষিরা ফুলচাষের দিকে একটু বেশি ঝুঁকছেন। শীতকালজুড়ে বাহারি ফুলের নেশা অনেকেরই আছে। বহু মানুষ এই সময় রঙবেরঙের ফুলগাছ লাগান বাড়িতে। বাঙালির বাড়িতে শীতকালজুড়ে গাঁদা গাছ থাকেই। অনেকেই বাজার থেকে গাঁদা গাছের চারা কিনে বাড়িতে লাগান। আবার অনেকেই গাছ লাগান ও পরিচর্যা করার ঝক্কি থেকে বাঁচতে বাজার থেকেই ফুল কিনে তা পুজো বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ঘর সাজানোর কাজে লাগান। আর সেই কারণে গাঁদা ফুলের চাহিদাও থাকে এইসময় ভাল। তাই চাষিরা ধান আলু চাষের পাশাপাশি জোর দিচ্ছেন গাঁদা ফুলের দিকে। মাঠ জুড়ে প্রচুর চারা লাগিয়েছেন।
advertisement
রক্ত গাঁদা, চাপ গাঁদা, বাসন্তী গাঁদার চাষ হচ্ছে ক্ষেত জুড়ে। আবার ছোটো ছোটো চারাও তৈরি হচ্ছে বাজারে খুচরো বিক্রির জন্য। ইতিমধ্যেই ফুল আসা শুরু হয়ে গেছে। এগুলো বড় হলেই বাজারে পাইকারি ও খুচরো বিক্রি করবেন চাষিরা। সাধারণত পশ্চিম মেদিনীপুরের কোলাঘাট সহ আশাপাশের বাজারে, হাটে এইসব ফুল ও চারাগাছ বাজারজাত করেন চাষিরা। চাষিদের মতে গাঁদা ফুলচাষ লাভজনক বিশেষ করে যখন চাষিরা সঠিক পদ্ধতি ও যত্ন নিয়ে চাষ করেন। শুধু শীতকাল বলে নয় গাঁদা ফুল সারা বছর চাষ করা যায়, তবে শীতকাল হল সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। আর গাঁদা ফুলের চাহিদা বেশি থাকে বাজারে, বিশেষ করে পুজো ও বিবাহের মরশুমে এই চাষের খরচ কম, তাই এটি একটি লাভজনক ব্যবসা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এক চাষি জানান, বছর দশেক আগে থেকেই ফুল গাছের চাষ তিনি শুরু করেছেন। ধান চাষ ও আলু কিংবা সবজি চাষের খাটনি ও খরচের তুলনায় ফুল চাষে লাভটা একটু বেশি তাই তার দেখাদেখি অনেকেই এখন গাঁদা ফুলের চাষ করছেন। বর্তমানে তার বাগানে রক্ত গাঁদা, চাপ গাঁদা আর হলুদ গাঁদার চাষ হচ্ছে। গাঁদা ফুল চাষ করে অনেক কৃষক লাভবান হচ্ছেন। তাই গাঁদা ফুল চাষ একটি ভাল বিকল্প হতে পারে যারা কৃষিকাজে আগ্রহী এবং লাভজনক ব্যবসা খুঁজছেন তাদের জন্য। আর এই শীতকালই হচ্ছে তার সুবর্ণ সুযোগ।





