বালতি, গামলায় পদ্ম চাষে লাভের মুখ দেখছেন মেদিনীপুরের যুবক
আসলে পুকুর কিংবা পাঁক ছাড়াই বালতি আর গামলায় ফুটছে রংবেরঙের পদ্ম। এতেই লাভবান হচ্ছে সে। পুজো আসছে, বাজারে বেশ চাহিদা থাকে পদ্ম ফুলের। বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে বা পুজো আয়োজনে ন্যূনতম ১০৮টি পদ্মের যোগান দিতে হয় উদ্যোক্তাদের। তবে এই পদ্ম খুঁজতে গিয়ে বেশ হয়রানি শিকার হতে হয় সকলকে। একদিকে শীতের শুরুতে পদ্মের যোগান কম, অন্যদিকে দামও আকাশছোঁয়া থাকে। তবে প্রায় বেশ কয়েক মাস ধরে প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় থেকেও এক যুবক পদ্মের চাষ করে একদিকে যেমন নিজের স্বনির্ভর হচ্ছেন, তেমনই পুজোর আগে দিচ্ছেন স্বনির্ভর হওয়ার বার্তা।
advertisement
আরও পড়ুন: পুজোর সময় বাঁকুড়া ঘুরতে গেলে প্ল্যানে রাখুন লালবাঁধ, অপেক্ষা করছে আলাদা সৌন্দর্য! মিস করলে পস্তাবেন
পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রান্তিক এলাকা দাসপুরের তিওরবেড়িয়া গ্রামের সুমন সামন্ত, বেশ কয়েক মাস ধরেই নিজের বাড়িতে চাষ করছে একাধিক প্রজাতির পদ্মফুল। কোনওটিই আকৃতিতে ছোট, কোনওটি আবার বেশ বড়, কোনওটির প্রায় শতাধিক পাপড়ি। কোনওটির আবার ফলন বেশ। সামাজিক মাধ্যমে দেখে প্রাথমিকভাবে অনলাইনে বীজ কিনে চাষ শুরু করলেও সফল হয়নি। এরপর খড়গপুর, মেদিনীপুর, খানাকুল এমনকি মুর্শিদাবাদ থেকেও টিউবার কিনে শুরু করে পদ্মের চাষ। বর্তমানে সেই সংখ্যাটা ধীরে ধীরে বেড়েছে তার। একাধিক প্রজাতির চারা রয়েছে তার কাছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
নিজের বাড়ির উঠোনে প্লাস্টিকের গামলাতে, সামান্য মাটি, জৈব সার দিয়ে ফুটাচ্ছে পদ্মফুল। তার কাছে রয়েছে সবচেয়ে ছোট ভ্যারাইটি লিয়াংলি। সব থেকে বেশি ফুল দিতে সক্ষম আমেরি ক্যামেলিয়া এছাড়াও অ্যামেরি পিয়নি, হোয়াইট পিয়নী, কামিল্লা, বাসুকি, নিউ স্টার, পিং ক্লাউড, রেড ওয়াটার মেলন, ওয়াই পি পি, হোয়াইট ফরেনার, মৃণালিনী, রেড পিয়নি, মথুরাধা, কাঞ্চন সহ একাধিক প্রজাতির পদ্ম। কোনওটি বেশ ছোট আকৃতির, ফুটে সামান্য চায়ের কাপে। কিংবা সবচেয়ে বড় প্রজাতির পদ্ম ফুটছে গামলাতেই। নিজের বাড়ির উঠোনে এই পদ্মের চাষ করে মালামাল হওয়া যায় অতি সহজে। সামান্য খরচ ও পরিচর্যায় প্রতিমাসে মিলতে পারে বেশ লাভ। কিছু করার ভাবনা নিয়ে এবং পদ্মের প্রতি ভালোবাসা থাকায়, এই পদ্মের চাষ করেছেন সুমন। পুজোর আগে পদ্মফুল ফুটিয়ে বেশ লাভ জুটতে পারে তার।
নিজের বাড়িতে অন্যান্য কাজের অবসরে পদ্মের চাষ করে বিকল্প আয়ের দিশা দেখাচ্ছেন প্রত্যন্ত গ্রামের এই যুবক। অনলাইন ও অফলাইনে বিক্রি করছে এই টিউবার ও গাছ। তার এই স্বনির্ভর হওয়ার ভাবনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে