দিন যত গেছে, অভিজ্ঞতা বেড়েছে। চেষ্টা, পরিশ্রম আর ধৈর্য্য এই তিনে ধীরে ধীরে বদলে গেছে ছবি। ছ’শো গ্রাম দিয়ে শুরু করা সেই সন্তু ঘোষ, আজ দাঁড়িয়ে আছেন সাত হাজার সিলিন্ডারের বিশাল ফার্ম নিয়ে। তাঁর ফার্মে আজ তৈরি হয় ছ’টি প্রজাতির মাশরুম। শীত, বর্ষা, গ্রীষ্ম প্রতিটি ঋতুর জন্য আলাদা আলাদা বিশেষ মাশরুম চাষ করেন তিনি। এক সময় যে মানুষ ভাবতেন ‘বিক্রি হবে কি না’, আজ সেই মানুষ চাহিদা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন। এতটাই চাহিদা তাঁর মাশরুমের, যে জোগান দিতে পারছেন না বলতেই হয়।
advertisement
এক সংগ্রামী মানুষের সাফল্যের চেহারা এমনই হয়। আজ তিনি আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলেন, “কখনও ভাবিনি এতটা এগোতে পারব। তখন তিন-চার হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে শুরু করেছিলাম। আর আজ আমার ফার্মে ছ’ধরনের মাশরুম হয়। আর চাহিদা এতই বেশি যে মাল দিয়ে উঠতে পারি না। লাভও হচ্ছে ভালই।” বর্তমানে তিনি হোলশেল মাশরুম কেজি প্রতি ১৭০ টাকায় বিক্রি করেন। চন্দ্রকোনার বালা এলাকার মাটির মানুষ হয়ে তিনি আজ তৈরি করেছেন এক অনন্য উদাহরণ যে ইচ্ছে থাকলে সাফল্য আটকান যায় না।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
হাল ছাড়েননি বলে আজ বালা গ্রামের নাম, নিজের নাম দুটোই উজ্জ্বল করেছেন সন্তু ঘোষ। তাই সন্তু ঘোষের struggle to success journey শুধু সাফল্যের গল্প নয় এটা সেই কাহিনী যেখানে হার না মানলে জীবনও একদিন মাথা নত করে দাঁড়ায়।





