নির্মলা জানিয়েছেন, মেডিক্যাল শিক্ষা খাতে বিশাল বিনিয়োগ করা হচ্ছে। বাড়ানো হচ্ছে সিট সংখ্যা। আগামী বছরে ১০,০০০ নতুন আসন এবং পরবর্তী পাঁচ বছরে মোট ৭৫,০০০ আসন বাড়ানো হবে। প্রতিটি জেলা হাসপাতালে ক্যানসার সেন্টার গড়ে তোলা সরকারের লক্ষ্য বলেও জানিয়েছেন তিনি।
দেশের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে বর্তমানে মোট ১,১২,১১২টি এমবিবিএস সিট রয়েছে। ভর্তি হতে হয় নিট পরীক্ষার মাধ্যমে। প্রতি বছরই বিপুল প্রতিযোগিতা হয়। ২০১৪ সালের আগ পর্যন্ত দেশে এমবিবিএস সিট ছিল ৫১,৩৪৮টি এবং ২০১৪ সালে মেডিকেল কলেজ ছিল ৩৮৭টি।
advertisement
আরও পড়ুন: বড় সুখবর ! আয়করে বড় ছাড়, ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করশূন্য
২০২৪ সালের জুলাই মাসে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের মেডিকেল কলেজের সংখ্যা বেড়ে ৭৩১টি হয়েছে। একইভাবে মেডিকেল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট সিটও বাড়ানো হয়েছে। ২০১৪ সালে যেখানে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট সিট ছিল ৩১,১৮৫টি, সেখানে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত সিটের সংখ্যা বেড়ে ৭২,৬২৭টি হয়েছে।
বাজেট ভাষণে দেশের ৫টি আইআইটি-তে অতিরিক্ত পরিকাঠামো নির্মাণের ঘোষণাও করেন অর্থমন্ত্রী। পাশাপাশি, আইআইটি পাটনার সম্প্রসারণের কথাও জানান। সেখানে ছাত্রাবাস নির্মাণ করা হবে। শিক্ষা ক্ষেত্রের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণার মধ্যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বিষয়ক শিক্ষার জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা করেন তিনি। ৩টি এআই এক্সিলেন্স সেন্টার স্থাপন করা হবে বলেও জানান।
অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিহারে একটি জাতীয় প্রযুক্তি, উদ্যোক্তা ও ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হবে, যা পূর্বাঞ্চলে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পকে উৎসাহিত করবে। এর ফলে কৃষকদের আয় বাড়বে, যুবকদের দক্ষতা প্রশিক্ষণের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া, স্কুলগুলোতে ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি এবং ল্যাব তৈরি করা হবে। আইইটি-এর সংখ্যা বাড়ানো হবে বলেও জানিয়েছেন নির্মলা।
আরও পড়ুন: Union Budget 2025: কোটি কোটি কৃষকের জন্য বড় ঘোষণা, কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের সীমা বেড়ে হল ৫ লাখ টাকা
কর্মসংস্থান বাড়াতে এমএসএমই সেক্টরের উপর বাড়তি জোর দিয়েছেন নির্মলা। তিনি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী রিসার্চ ফেলোশিপের জন্য ১০,০০০ ফেলোশিপ দেওয়া হবে। চালু করা হবে ‘অঙ্গনওয়াড়ি ও পুষ্টি ২.০ প্রকল্প’। আগামী পাঁচ বছরে ৫০,০০০ সরকারি স্কুলে আত্তল টিঙ্কারিং ল্যাব চালু করা হবে। সব সেকেন্ডারি স্কুলে দেওয়া হবে ব্রডব্যান্ড কানেকশন। সঙ্গে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রগুলিতেও। এছাড়াও, স্টার্টআপ ক্রেডিট গ্যারান্টি বাড়িয়ে ২০ কোটি টাকা করা হয়েছে।