মোদি বলেছিলেন, “মা লক্ষ্মী গরিব এবং মধ্যবিত্তকে আশীর্বাদ করুন, এই প্রার্থনাই করি। ভারত গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ৭৫ বছর পূর্ণ করেছে, এটা গর্বের বিষয়। ভারত বিশ্বমঞ্চে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।“ এবারের বাজেট দেশকে নতুন আশা দেবে, শক্তি জোগাবে বলেও মন্তব্য করেন মোদি। তাঁর কথায়, “আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, ২০৪৭ সালে, ভারত যখন স্বাধীনতার ১০০ বছর পূর্ণ করবে তখন ‘বিকশিত ভারত’-এর লক্ষ্যেও পৌঁছবে। এই বাজেট দেশকে দেশকে নতুন আশা এবং শক্তি যোগাবে।“
advertisement
আর এবার বাজেট ঘোষণার মধ্যে দেশের অগণিত কৃষকের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সেই প্রার্থনারই বাস্তবায়ণ হল। যাঁদের হাতে ক্ষেতে সোনা ফলে, মা লক্ষ্মীর আগমন হয় শস্যকণায়, তাঁদের জন্য সম্পদ বৃদ্ধির শুভ সূচনা হল।
২০২৫ সালের বাজেটে মোদি সরকার দেশের কোটি কোটি কৃষককে বড় ধরনের স্বস্তি দিয়েছে। জল্পনা অবশেষে সত্যি হয়েছে, কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের সীমা বাড়িয়েছে সরকার। এখন এই সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করা হয়েছে। বাজেটে কৃষকদের নিয়ে আরও অনেক বড় ঘোষণা করেছে সরকার। এর মধ্যে রয়েছে ধন ধান্য কৃষি যোজনা, যা ১.৭ কোটি কৃষকদের সাহায্য করার জন্য একটি কৃষি কর্মসূচি এবং কম উৎপাদনশীল ১০০টি জেলাকে কভার করার জন্য একটি কৃষি প্রকল্প।
আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহেই সংসদে পেশ হবে নতুন আয়কর বিল! বাজেটে বড় ঘোষণা সীতারমণের
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এই প্রসঙ্গে বলেছেন যে, “ভোজ্য তেল এবং বীজের জন্য জাতীয় মিশনের লক্ষ্য এই সেক্টরে স্বনির্ভরতা আনা। এর অধীনে, আমরা স্বনির্ভর হওয়ার জন্য ৬ বছরের মিশন শুরু করব। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি আগামী ৪ বছরে তুর, উড়দ, মুসুর ডাল সংগ্রহ করবে। এর প্রক্রিয়াকরণ উন্নত করতে বিহারে মাখানা বোর্ড গঠন করা হবে।”
বাজেটে সরকার বলেছে যে, উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলা কর্মসূচির আদলে কৃষি জেলা কর্মসূচির উন্নয়ন করা হবে। শস্য বৈচিত্র্য, সেচ সুবিধা, ঋণের প্রাপ্যতা ১.৭ কোটি কৃষককে সাহায্য করবে। এই স্কিমটি শস্য বৈচিত্র্যকে গ্রহণ করবে, যা ফসল তোলার পরে সঞ্চয় বাড়াবে। এটি ১.৭ কোটি কৃষকদের সাহায্য করবে।