অর্থমন্ত্রী বলছেন, “এর ফলে মধ্যবিত্তর হাতে খরচ করার মতো পর্যাপ্ত অর্থ থাকবে। বিনিয়োগ এবং সঞ্চয়ও বাড়বে।” তবে পুরনো কর ব্যবস্থায় ট্যাক্স স্ল্যাবে কোনও পরিবর্তন হয়নি। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন কর ব্যবস্থাকে আরও জনপ্রিয় করতেই এই ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: LPG থেকে শুরু করে মানি ট্রান্সফার, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আসতে চলেছে বড়সড় পরিবর্তন
advertisement
ট্যাক্স স্ল্যাবে পরিবর্তন: বার্ষিক আয় ১২ লাখ টাকার বেশি হলে নতুন হারে কর ধার্য করা হবে। যাঁদের আয় ১২ লাখ টাকার বেশি, তাঁদের প্রথম ৪ লাখ টাকার আয়ের উপর কোনও কর দিতে হবে না। ৪ লাখ থেকে ৮ লাখ টাকার আয়ে ৫ শতাংশ হারে, ৮ লাখ থেকে ১২ লাখ টাকার আয়ে ১০ শতাংশ, ১২ লাখ থেকে ১৬ লাখ টাকার আয়ে ১৫ শতাংশ, ১৬ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকার আয়ে ২০ শতাংশ, ২০ লাখ থেকে ২৪ লাখ টাকার আয়ে ২৫ শতাংশ এবং ২৪ লাখ টাকার বেশি আয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।
২০২৩ সালের এপ্রি মাসে নতুন কর কাঠামো চালু হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল কর ব্যবস্থাকে সহজ করা এবং করের হার কমানো। এর আওতায় ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। পুরনো কর কাঠামোর তুলনায় এতে ট্যাক্স স্ল্যাব বাড়ানো হয়, সঙ্গে কমানো হয় করের হার।
নতুন কর কাঠামোয় কত লাভ হবে: অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, নতুন কর ব্যবস্থায় করদাতারা অনেক বেশি টাকা বাঁচাতে পারবেন। ১২ লাখ টাকা আয়ে ৮০ হাজার টাকা সঞ্চয় হবে, ১৮ লাখ টাকা বার্ষিক আয়ে ৭০ লাখ টাকা এবং ২৫ লাখ টাকা বার্ষিক আয়ের করদাতারা ১ লাখ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত সঞ্চয় করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহেই সংসদে পেশ হবে নতুন আয়কর বিল! বাজেটে বড় ঘোষণা সীতারমণের
আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাবও দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। আগে ২ বছর সময় দেওয়া হত, এখন তা বাড়িয়ে ৪ বছর করা হবে। সঙ্গে নির্মলা জানিয়েছেন, ‘বিবাদ সে বিশ্বাস ২.০’ নামের স্কিম থেকে ৩৩ হাজার করদাতা উপকৃত হয়েছেন। পাশাপাশি ভাড়ায় টিডিএস-এর সীমা বাড়িয়ে ৬ লাখ টাকার করা হতে পারে।