চন্দ্রিমা বলেন, "কেন্দ্রের বাজেট দিকে তাকিয়ে ছিলাম। ভেবেছিলাম অনেক কিছু বলবেন। দরিদ্র মানুষের কথা ভেবে বাজেট হয়নি। ভোটমুখী রাজ্যের কথা ভেবে বাজেট হয়েছে। বিশেষ করে একটি রাজ্যের কথা তো উল্লেখ হয়েছে৷ অনেক ফাঁক ধরা পড়েছে।"
রাজ্যের মন্ত্রী আরও বলেন, "আসলে কোনও ছাড় দেওয়া হয়নি। কর কাঠামোয় একটা ট্যুইস্ট আছে। নতুন কর কাঠামোর কথা বলা হয়েছে। একদিকে বলছে ছাড়। অন্যদিকে মুদ্রাস্ফীতি কমানোর কথা বলা নেই। এই করের ছাড়ে ফলে মানুষের লাভ নেই। হঠাৎ আলোর ঝলকানি। আসল ফল মানুষ পাবেন না।"
advertisement
কেন্দ্রকে নিশানা করে তিনি বলেন, "আবাসে বরাদ্দ বাড়লেই তো হবে না। সেটাকে তো খরচে আনতে হবে। আমাদের রাজ্যই তো পায়নি। ১১ লাখ ৩৬ হাজারের জন্য বরাদ্দ অর্থ আসেনি। বরাদ্দ আর বাস্তবে টাকা দেওয়ার মধ্যে ফারাক আছে৷ বাংলার জন্য আর বিজেপির শাসিত রাজ্যের মধ্যে ওরা ফারাক করে।"
চন্দ্রিমা বলেন, "আদিবাসী ভোট লক্ষ্য। তাই এই সব ঘোষণা করছে। বছর পিছু ৫০০০ করে বরাদ্দ। আদিবাসী ভোটকে লক্ষ্য করেই এই সব করছে।
পয়সা হাতে আসলে তো মানুষ খরচ করবে। সঞ্চয় করার মতো তো পয়সা নেই। মহিলাদের হাতে টাকা তো আগে দিতে হবে।"
আরও পড়ুন, ভোটের আগে শেষ বাজেট, বাংলার রেল প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ কত হবে? নজর রাজ্যবাসীর
আরও পড়ুন, নির্মলার ভাষণ শুরুর আগে ১০ পয়েন্টে জেনে নিন বাজেটের আকর্ষণীয় তথ্য এবং ইতিহাস!
তিনি আরও বলেন, "সমাজকে আসলে বিভাজিত করতে চাইছে। এটা দৃষ্টিকটু একটা ব্যাপার। কৃষক বা শ্রমিক শ্রেণীর কথা ভেবে কিছু করা হয়নি। বরাদ্দ আর বাস্তবের মধ্যে ফারাক অনেক।"