এই বাজেটে গ্রামীণ এবং কৃষি খাতে ১০ বিলিয়ন ডলার খরচ বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে, যা ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবর্ষে পাবলিক ক্যাপেক্সে দ্বিগুণ অঙ্কের অর্থাৎ প্রায় ২০ শতাংশের বৃদ্ধি বজায় রাখার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও নোটে জানিয়েছেন তানভি।
তানভি বলছেন, নির্বাচনের মুখে এই বাজেট হলেও আর্থিক সীমা অতিক্রম করবে না। ভর্তুকি উল্লেখযোগ্য ভাবে কমতে পারে। তবে মনরেগা, গ্রামীণ আবাসন, রাস্তা সহ গ্রামীণ প্রকল্পগুলোতে আরও বেশি অর্থ বরাদ্দের সম্ভাবনা রয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারতীয় অর্থনীতির বিকাশ খুব একটা হবে না বলেই মনে করছেন তানভি। তাঁর মতে, মাত্র ৫.৫ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধি পাবে। এর জন্য বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধির ধীর গতি এবং বৈশ্বিক মন্দার আশঙ্কাকে দায়ী করছেন তিনি।
advertisement
পরিকাঠামো উন্নয়নে বাড়তি নজর দিয়েছে কেন্দ্র। বাজেটে এই খাতে আরও অর্থ বরাদ্দের সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন তানভি। একইসঙ্গে তাঁর মতে, মধ্য মেয়াদে ভারতীয় অর্থনীতি ৫.৭৫ থেকে ৬.২৫ শতাংশের সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সক্ষম হবে। এর একটাই কারণ। কেন্দ্রীয় সরকার ক্যাপেক্সের উপর চাপ বজায় রেখেছে। উৎপাদন এবং ডিজিটাইজেশনে জোর দেওয়া হয়েছে। তারই ফল ফলবে।
ডলারের তুলনায় হু-হু করে পড়ছিল রুপির দর। তবে ২০২৩-এ গতি উল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। রুপি নিজের দর ধরে রাখতে সক্ষম হবে বলে নোটে আশা প্রকাশ করেছেন তানভি। তাঁর মতে, এটা বন্ডের দামের উপরেও প্রভাব ফেলবে যা বছরের মাঝামাঝি ৭.৫ শতাংশে এবং পরবর্তী অর্থবর্ষের শেষে ৭ শতাংশে পৌঁছতে পারে। গৃহস্থালীর নিম্নমুখী প্রবাহ এবং উচ্চ মূল্যায়ন বাজারের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
আরও পড়ুন, আপনার আর্থিক ভবিষ্যৎ এই ৭ জনের কাঁধে, জানেন কি কারা তৈরি করছেন দেশের বাজেট?
আরও পড়ুন, বাড়ি-ফ্ল্যাট-জমি কিনলে মিলবে সুবিধা? বাজেট ঘিরে বাড়ছে প্রত্যাশা
তানভির নোটে বলা হয়েছে, ‘আমরা আশা করি যে নিফটি গত পাঁচ বছরে ১১ শতাংশের বিপরীতে আগামী তিন বছরে প্রায় ১০.৫ শতাংশের সিএজিআর (সংশ্লিষ্ট বার্ষিক বৃদ্ধির হার) প্রদান করবে’। পাশাপাশি ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে সিপিআই থাকবে ৫ থেকে ৫.৫ শতাংশের মধ্যে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মধ্যমেয়াদি লক্ষ্যমাত্রা ৪ শতাংশের কাছাকাছি থাকবে।