লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়াইজ (Wise) এবং ক্যাপিটাল ইকোনমিক্সের ২০২১ সালের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, ভারতীয় গ্রাহকরা ২০২০ সালে বৈদেশিক মুদ্রার ফি হিসেবে ২৬.৩ কোটির চেয়ে বেশি পরিমাণ টাকা খরচ করেছেন। এর মধ্যে মুদ্রা রূপান্তর, পেমেন্ট এবং কার্ডে ক্রয়ের জন্য ‘হিডেন ফি’ হিসেবে ৯.৭ কোটি টাকা দিয়েছেন। এই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৬ সালে ভারতীয়রা মোট ৫.৯ কোটি টাকা অতিরিক্ত ‘হিডেন ফি’ প্রদান করেছিল। ২০২০ সালে এক বছরে দেওয়া মোট ‘হিডেন ফি’-এর টাকার অঙ্ক বেড়ে ৯.৭ কোটিতে পৌছয়।
advertisement
আরও পড়ুন - Interest: আপনার PF অ্যাকাউন্টে সুদ ট্রান্সফার শুরু হয়েছে, নিজেই হিসেব করে মিলিয়ে নিন কত সুদ পেলেন
আরও পড়ুন - Panchang 10 November: পঞ্জিকা ১০ নভেম্বর: দেখে নিন নক্ষত্রযোগ, শুভ মুহূর্ত, রাহুকাল এবং দিনের অন্য লগ্ন!
ওয়াইজ ইন্ডিয়ার কান্ট্রি ম্যানেজার রশ্মি সাতপুতে জানিয়েছেন, “যখনই টাকাকে ডলার বা ইউরোতে রূপান্তর করা হয় তখন গ্রাহকরা হিডেন চার্জের জালে জড়িয়ে পড়ে।” তিনি আরও বলেন এই সমীক্ষাটি বৈদেশিক মুদ্রা রূপান্তরে স্বচ্ছতার অভাবকে তুলে ধরেছে। দীর্ঘ সময় ধরে গ্রাহকরা নিজের অজান্তেই “বিদেশি লেনদেনের জন্য অপ্রয়োজনীয় খরচ” করে এসেছে। মুদ্রা রূপান্তরে স্বচ্ছতা নিয়ে সাতপুতে বলেন, “ব্যাঙ্ক এবং বৈদেশিক মুদ্রার দালালরা 'ফ্রি' এবং 'জিরো পার্সেন্ট কমিশনের’ মতো বিভ্রান্তিকর শব্দের ব্যবহার বন্ধ করে বিদেশি মুদ্রার লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে পারে।”
ফরেক্স কারেন্সি মার্ক-আপ ফি কী?
যখন কোনও গ্রাহক বিদেশে ভারতীয় ব্যাঙ্কের কার্ড সোয়াইপ করে তখন খরচ করা টাকার পরিমাণ ভারতীয় টাকায় রূপান্তরিত হয়ে যায়। তখন লেনদেনের ফি হিসেবে ফরেক্স কারেন্সি মার্ক-আপ চার্জ করা হয়। এই অতিরিক্ত চার্জের পরিমাণ লেনদেনের মূল্যের ২% বা তার বেশি হয়। ব্যাঙ্ক অনুযায়ী এই চার্জের পরিমাণ পরিবর্তিত হতে থাকে।
যখন উপভোক্তা বিদেশে ভারতীয় ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে তখন প্রতিবার টাকা তোলার সময় উত্তোলিত টাকার পরিমাণের ১% থেকে ৪% ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হয়। এই কারণে যখন বিদেশে ভারতীয় কার্ড ব্যবহার করা হয় তখন কারেন্সি মার্ক-আপ ফি, লেনদেনের ফি এবং টাকা তোলার জন্য কত টাকা কাটা হচ্ছে সেই দিকে নজর রাখা উচিত।