আরও পড়ুন: এটিএম থেকে ছেঁড়া-ফাটা নোট পেয়েছেন? কীভাবে বদলাবেন জেনে নিন!
এমনটাই বলছেন দেশের বড় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্তারা। যেমন মাইনিং দুনিয়ার অন্যতম সেরা কোম্পানি বেদান্ত জানিয়েছে, তারা ৮০০০ হাজার কোটি টাকার ঋণ ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় স্থানান্তর করতে চায়। ২০২০ সালে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার থেকে ১০.৫ শতাংশ সুদের হারে ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল তারা। গত ৩১ জানুয়ারি তারা জানিয়েছে, বাকি ঋণ তারা ইউনিয়ন ব্যাঙ্কে স্থানান্তর করবে। এর ফলে সুদের হার ২ শতাংশ কমতে পারে।
advertisement
সস্তা হবে কোথায়?
পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অফ বরোদা এবং ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকরা বলছেন, করোনা আবহে ব্যাঙ্কগুলিকে সুদ কমানোর জন্য ক্রামগত চাপ দিচ্ছে কর্পোরেট ঋণগ্রহীতারা। কে সুদের হার কতটা কমিয়ে গ্রাহকদের টানতে পারে, ব্যাঙ্কগুলির মধ্যেও এই নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ব্যাঙ্ক অফ বরোদার চিফ একজিকিউটিভ সঞ্জীব চাড্ডা বলেন, ‘সুদের হার কমানো শুরু হওয়ার পর থেকেই গ্রাহকরা ক্রমাগত ব্যাঙ্ক পরিবর্তন করছেন’।
আরও পড়ুন: ক্রেডিট কার্ডে শুধু মিনিমাম ডিউ মেটান? সাবধান! মোটা অঙ্কের সুদ দিতে হবে!
গৃহঋণের গ্রাহকরাও ব্যাঙ্ক পাল্টাচ্ছেন
একই অবস্থা গৃহঋণের ক্ষেত্রেও। ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার একজিকিউটিভ ডিরেক্টর স্বরূপ দাশগুপ্ত বলছেন, হোম লোন নেওয়া গ্রাহকরাও ব্যাঙ্কগুলিকে সুদের হার কমানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন। নাহলে অপেক্ষাকৃত কম সুদের হার যে ব্যাঙ্কে সেখানে ঋণ স্থানান্তর করে নিচ্ছেন। অনেক ব্যাঙ্ক নতুন ঋণের জন্য কার্যকরি মূলধন ব্যবহার করতে পারছেন না। যেমন এসবিআই-এর ২.০৬ লক্ষ কোটি টাকার কার্যকরি মূলধন রয়েছে। যার মধ্যে ১.৯৯ লক্ষ কোটি টাকা ব্যবহারই করা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: করোনা আবহে প্রথমবার জীবন বিমা কিনবেন? এই বিষয়গুলি মাথায় রাখতেই হবে!
আগামী ত্রৈমাসিকে পরিস্থিতির উন্নতি হবে
পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের চিফ একজিকিউটিভ এসএস মল্লিকার্জুন রাও বলছেন, ‘আগামী ত্রৈমাসিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আবারও সুদের হার বাড়াতে পারে। তবেই লোন ট্রান্সফারের ঝামেলা থেকে মুক্তি মিলবে। এখন সস্তা ঋণের লোভে গ্রাহকরা তাদের ঋণ এক ব্যাঙ্ক থেকে অন্য ব্যাঙ্কে স্থানান্তর করে নিচ্ছেন। ফলে কিছু ব্যাঙ্ক তাদের গ্রাহকদের আটকাতে সুদের হার সস্তা করতে বাধ্য হচ্ছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদের হার বাড়ালেই পরিস্থিতি বদলাবে’।