আরও পড়ুন: ১ এপ্রিল থেকে পিএফ অ্যাকাউন্টে বসবে কর! কতটা প্রভাবিত হবেন চাকরিজীবীরা?
বর্তমানে বিনিয়োগের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হল মিউচুয়াল ফান্ড। বাজার অস্থির থাকলেও মিউচুয়াল ফান্ডের এসআইপি সিস্টেমে বিনিয়োগকারীদের যথেষ্ট আস্থা রয়েছে। এতে অল্প পরিমাণ বিনিয়োগ করা যায়। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি এসআইপিতে চক্রবৃদ্ধি হারে মোটা অঙ্কের টাকা রিটার্নের সুবিধা মেলে।
advertisement
সঞ্চয় এবং বিনিয়োগ
কোটিপতি হতে চাইলে প্রতি মাসে সঞ্চয় করতে হবে। ব্যাঙ্কে কত টাকা ক্রেডিট হচ্ছে সেটা বড় কথা নয়। সেখান থেকে বাঁচিয়ে কত টাকা সঞ্চয় করা সম্ভব হচ্ছে সেটাই আসল। নিয়মিত সঞ্চয় করলে সঞ্চয়েরও অভ্যাস হয়ে যাবে। একই সঙ্গে নিয়মিত সঞ্চয় বা বিনিয়োগের পাশাপাশি এর পরিমাণও বাড়াতে হবে। যে অনুপাতে মুদ্রাস্ফীতি এবং আয় বৃদ্ধি পাবে, সেই অনুপাতে মাসিক সঞ্চয়ও বাড়াতে হবে। এভাবেই বিন্দু বিন্দু যোগ করে একটা বড় তহবিল তৈরি করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: বিলাসবহুল বাড়ি গাড়ি-সহ কত কোটি টাকার সম্পত্তি রেখে গেলেন লতা মঙ্গেশকর!
যদি, একজন বিনিয়োগকারী ২১ বছর বয়স থেকে দৈনিক ১০০ টাকা করে সঞ্চয় করে মাসিক এসআইপি-তে বিনিয়োগ করেন, তবে অবসরের সময় তিনি ১ কোটি টাকা পেতে পারেন। এই উপার্জনের জন্য এসআইপি একটি দারুণ বিকল্প।
১০০ টাকা থেকে ১ কোটি
সঠিক সময় সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করাটাও অত্যন্ত জরুরি। সেটা করতে পারলেই অর্ধেক কাজ হয়ে যায়। বাকি অর্ধেক ধৈর্য ধরে বিনিয়োগ করে যাওয়া। ধরা যাক, কোনও ব্যক্তি ২১ বছর বয়স থেকে প্রতিদিন ১০০ টাকা সঞ্চয় করতে শুরু করলেন। তবে তাঁর প্রতি মাসে বিনিয়োগ হবে ৩০০০ টাকা। কোনও ব্যক্তি যদি প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকার একটি এসআইপি করেন ও ১২ শতাংশ বার্ষিক রিটার্ন পান, তবে পরবর্তী ৩০ বছরে তাঁর ১.১ কোটি টাকার তহবিল তৈরি হবে। এই সময়ের মধ্যে মোট বিনিয়োগ হবে ১০.৮ লাখ টাকা। এর থেকে বিনিয়োগকারীর লাভ হবে ৯৫.১ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে এই অ্যাকাউন্ট রয়েছে? পেয়ে যাবেন ২০ লক্ষ টাকার সুবিধা....
মিউচুয়াল ফান্ডের এরকম অনেক স্কিম রয়েছে। যেগুলিতে দীর্ঘমেয়াদে ১২ শতাংশ বার্ষিক রিটার্ন পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে বার্ষিক রিটার্নের উপর তহবিলের বৃদ্ধি বা কম হওয়া নির্ভর করে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দীর্ঘমেয়াদি ক্ষেত্রে এসআইপি লাভজনক রবং অপেক্ষাকৃত ঝুঁকি অনেক কম।
