প্রতিদিন যাতায়াতের জন্য কেনা হচ্ছে না কি পারিবারিক ব্যবহারের উদ্দেশ্যে, মাথায় রাখতে হবে।
ডিলারের কাছে যাওয়ার আগে বিভিন্ন গাড়ির রিভিউ দেখে নেওয়া। অনলাইনে ব্র্যান্ড, মডেল সম্পর্কেও যাচাই করতে হবে।
আরও পড়ুন: ৮-৯ ঘণ্টার চাকরিতে জীবন ওষ্ঠাগত! একঘেয়েমি কাটানোর জন্য রইল দারুন ব্যবসার আইডিয়া!
টাকার বন্দোবস্ত করে রাখতে হবে। যাতে ডিলার ব্যাঙ্ক বা ক্রেডিট ইউনিয়নের দেওয়া প্রস্তাবিত হার অনুযায়ী গাড়ি বিক্রি করতে পারে।
advertisement
ডিলার যদি বুঝতে পারে ক্রেতা যথেষ্ট হোমওয়ার্ক করেছেন তাহলেই সেরা ডিল মিলবে।
গাড়ি সম্পর্কিত প্রতিটা খরচ জানতে হবে। লোন, বিমা, রক্ষণাবেক্ষণ – সব।
গাড়ি কেনার আগে নিজের ক্রেডিট স্কোর কত, সেটা জানতে হবে। সেই অনুযায়ী মিলবে কার লোন।
গাড়ি কেনার সময় ক্রেডিট স্কোর যেন বেশি থাকে। ভাল ক্রেডিট স্কোরের অর্থ হল কম সুদে মনের মতো লোন।
সামর্থ্যের মধ্যে গাড়ি কেনা উচিত। অর্থাৎ বাজেট অনুযায়ী।
শপিং হল ক্রেতা যখন জিনিসটা বাছাই করছেন, টেস্ট ড্রাইভ, গবেষণা ইত্যাদি। এরপর ডিলারের কাছে টাকা দিয়ে গাড়িটা কেনা।
চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসার আগে অন্তত দুই থেকে তিনটি গাড়ি পরীক্ষা করা উচিত।
একই ব্র্যান্ডের ডিলারদেরও বিভিন্ন বিভিন্ন ইনভেন্টরি এবং বিভিন্ন দাম বা ডিল থাকে। নতুন গাড়ি কেনার আগে তাই একাধিক ডিলারের থেকে পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত।
গাড়ির দাম দ্রুত কমে। অনেক সময় সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়িও থাকে নতুনের মতো।
সুদের হার বেশি হলে সময়ের সঙ্গে সামগ্রিক খরচ বাড়িয়ে দেয়।
বাস্তব জীবন এবং সোশ্যাল মিডিয়া, উভয় জায়গাতেই পরিচিতদের বলতে হবে। বাকিটা তারাই করে দেবে।
দামের জন্যে গুণমানের সঙ্গে আপোস করা উচিত নয়। তাহলে ভবিষ্যতে মূল্য চোকাতে হতে পারে।
অনলাইনে অনেক বিকল্প খুলে যায়, যেটা ডিলারও দিতে পারে না।
ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে ডিলাররা বিশেষ ডিল বা ইনসেনটিভ দেয়। তাই গাড়ি কেনার আগে ট্যুইটার এবং ফেসবুকে নজর রাখা উচিত।
রিবেট থেকে অনলাইন ডিসকাউন্ট এবং আরও অনেক কিছু, সর্বদা বিশেষ ছাড় সম্পর্কে ডিলারের কাছে জানতে চাইতে হবে।
বেশ কয়েকটি গাড়ির টেস্ট ড্রাইভ করা উচিত।
প্রতি মাসে কত টাকা দিতে পারবেন সেটা জানানো মানে ডিলারের হাতে খেলা তুলে দেওয়া।
সাধারণত ক্রেডিট ইউনিয়ন সর্বনিম্ন সুদের হার অফার করে।
বেশিরভাগ ক্রেতাই প্রতি মাসে কত টাকা ইএমআই দিতে পারে সেটা মাথায় রেখেই গাড়ি কিনতে যান। এতে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মাথা থেকে বেরিয়ে যায়।
ডিলার দাম না কমালে বিশেষ সুবিধার কথা জিজ্ঞেস করতে হয়।
ক্রেতার হয়ে ডিলার যেন আবেদন করলে ক্রেডিট রিপোর্ট একাধিক ঋণদাতার কাছে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
বছরের শেষ দিকে ডিলাররা পুরনো মডেলগুলো বিক্রি করে দিতে চায়। তাই গাড়ি কেনার এটাই সেরা সময়।
আরও পড়ুন: Aadhaar-এ ঠিকানা আপডেট করতে ব্যাঙ্ক পাসবুক কী লাগবেই? দেখে নিন নিয়মগুলি
কোথায় স্বাক্ষর করছেন সে সম্পর্কেও ডিলারকে প্রশ্ন করতে হবে। যাতে চুক্তির সব কিছু নখদর্পণে থাকে।
লুকানো খরচ নিয়ে স্বাক্ষর করার আগে জেনে নিতে হবে।
গাড়ি মেরামতি এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্যেও খরচ করতে হয়। আর সেই টাকাটা বের করতে হয় একলপ্তে।
গাড়ি কেনা জটিল প্রক্রিয়া। ফলে সময়সাপেক্ষ। তাই অধৈর্য হয়ে পড়লে আখেরে ক্ষতি হতে পারে।
কাগজপত্রে সইসাবুদ হয়ে গেলে নতুন গাড়ির সঙ্গে একটা সেলফি। তারপর ইনস্টাগ্রামে পোস্ট। এটা তো করতেই হবে!