চাষে আগ্রহী রূপম পাল জানান, তিনি প্রথমে কর্ণাটকে এই কলার চাষ হতে দেখেন। সেখান থেকে তিনি প্রথমে ১০টি লাল কলার চারা নিয়ে আসেন চাষ করার জন্য। এই কলা খেতে অত্যন্ত মিষ্টি। এছাড়া এই কলার পুষ্টিগুণ অন্যান্য কলার প্রজাতির চেয়ে অনেকটাই বেশি। তাই এই কলার চাষের ক্ষেত্রে ভাল মুনাফা রয়েছে কৃষকদের জন্য। এই চাষ করার জন্য সামান্য উঁচু জায়গায় প্রয়োজন। যাতে কোন মতেই জল জমার সম্ভাবনা না থাকে গাছের গোড়ায়। এই কলা গাছে প্রতিদিন জল দিলে গাছ মরে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। তাই এই কলা গাছে গরমের মরশুমে ৭ দিনে একবার, এবং স্বাভাবিক আবহাওয়ায় ১৫ দিনে একবার জলের প্রয়োজন হয়।”
advertisement
আরও পড়ুন: যখন-তখন ব্রেকফাস্ট করেন? বিপদ ডাকছেন! বিশেষজ্ঞের থেকে জানুন কখন খাওয়া উচিত সকালে
তিনি আরও জানান, এই কলা গাছ লাগানোর এক বছরের মধ্যে কলার ভাল ফলন হতে শুরু করে। অন্যান্য কলার মতো করেই চাষ করতে হয় এই লাল কলা। বিশেষ কোনও পদ্ধতি বা কোনও সমস্যা দেখা যায় না এই কলা চাষে। তবে এই কলা গাছে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা যাবে না। একমাত্র জৈব সার এই কলা গাছের জন্য ভাল।
এই কলা কিডনিতে পাথর প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বক ভাল রাখতেও কাজে লাগে। বাজারে বেশ চাহিদা দেখতে পাওয়া যায় এই লাল কলার। তাই যে কোনও কৃষক এই কলা চাষ করে আর্থিক মুনাফার মুখ দেখতে পারবেন খুব সহজেই।
Sarthak Pandit