আরও পড়ুন: মাত্র ২৫ হাজার পুঁজি নিয়ে মাসে ৫০ হাজার আয়, জানুন এই ব্যবসার খুঁটিনাটি!
তাই ক্রেডিট কার্ডের বিলিং চক্র বোঝাটা গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে ব্যবহার করতে সুবিধা হবে। বিলিং চক্র হল সেই সময়কাল যার ভেতরে লেনদেনের পর ক্রেডিট কার্ডের বিল তৈরি হয়। যদি গ্রাহকের ক্রেডিট কার্ড স্টেটমেন্ট প্রতি মাসের ১০ তারিখে তৈরি হয়, তাহলে বিলিং চক্রটি আগের মাসের ১১ তারিখ থেকে শুরু হবে এবং চলতি মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত চলবে। বিলিং চক্রের প্রকৃত সময়কাল কত তা ব্যাঙ্কের কাছ থেকে জেনে নেওয়া উচিত। কারণ বিলিং চক্রের সময়কাল ২৭ দিন থেকে ৩১ দিনের মধ্যে হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: শীঘ্রই অ্যাকাউন্টে আসতে চলেছে টাকা, বাড়িতে বসেই চেক করে নিন Status
ক্রেডিট কার্ড স্টেটমেন্ট বা বিলিং স্টেটমেন্ট বিলিং চক্র বা বিলিং সময়কালে গ্রাহক কীভাবে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেছেন তার তথ্য প্রদান করে। বিবৃতিতে গ্রাহকের বিলিং চক্রের সময় সম্পাদিত লেনদেন, ন্যূনতম বকেয়া পরিমাণ, নির্ধারিত তারিখ ইত্যাদির তথ্য থাকে। পেমেন্টের নির্ধারিত তারিখের তিন দিন পর পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ড পেমেন্ট করার সুযোগ রয়েছে। এর পরেও, যদি গ্রাহক টাকা না মেটান তবে মোটা অঙ্কের টাকা সুদ দিতে হয়। এবং সেটা পরবর্তী বিলে যোগ করা হয়।
ক্রেডিট কার্ড বিল শোধের সময় গ্রাহককে তিনটি বিকল্প দেওয়া হয়। প্রথম - মোট বিল পরিশোধ, দ্বিতীয় - সর্বনিম্ন পরিমাণ এবং তৃতীয় - কম পরিমাণ। আইন অনুযায়ী সবসময় ক্রেডিট কার্ডের বিল সময়ের মধ্যে শোধ করতে হবে। এতে ক্রেডিট স্কোর ভালো থাকে। অতিরিক্ত সুদ গুণতে হয় না। সবচেয়ে বড় কথা হল, টাকা শোধের চিন্তা মাথায় ঘুরতে হয় না। এখন যদি কেউ ক্রেডিট কার্ডের সম্পূর্ণ বিল পরিশোধ করতে না পারেন, তাহলে তাঁকে অবশ্যই ন্যূনতম অর্থ প্রদান করতে হবে।
আরও পড়ুন: এই শহরগুলিতে ১০০০ টাকার বেশি দাম হয়ে গিয়েছে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের !
ন্যূনতম অর্থ প্রদান করলে জরিমানা দিতে হবে না। সর্বনিম্ন পরিমাণ হল মোট বিলের ৫ শতাংশ। তবে মাসিক কিস্তি পরিশোধের বিষয়টি আলাদা। যদি গ্রাহকের কোনও পণ্যের ইএমআই হয় ২০০০ টাকা এবং গ্রাহক যদি এই সময়ের মধ্যে ৫০০০ টাকার কোনও কেনাকাটা করেন, তাহলে তাঁকে ন্যূনতম ৫২০০ টাকা শোধ করতেই হবে।