আর্থিক যাত্রা শুরু:
যে কোনও কাজে সাফল্যের প্রথম ধাপ হল সেই কাজটা শুরু করা। যদি কেউ বড় তহবিল তৈরি করতে চান, তাহলে বিনিয়োগের প্রথম ধাপ দিয়েই সেটা শুরু হবে। আর তার জন্য গণেশ চতুর্থীর এই উৎসবের থেকে ভালো সময় আর কী-ই বা হতে পারে! এখনও বিনিয়োগ বা সঞ্চয় শুরু না-করে থাকলে সেই দিকে এগিয়ে যাওয়ার এটাই হবে সেরা মুহূর্ত।
advertisement
আরও পড়ুন: শীঘ্রই বাজারে আসতে পারে মারুতি সুজুকির প্রথম ইলেকট্রিক গাড়ি; শুরু হয়েছে জল্পনা!
বুদ্ধি খাটিয়ে বিনিয়োগ:
হাতির মতোই মুখ এবং মাথা ভগবান গণেশের। তাই তো তিনি গজানন। আর এটাই জ্ঞানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই বিনিয়োগ করার সময় বুদ্ধি প্রয়োগ করে তবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ যে কোনও স্কিমে অর্থ বিনিয়োগ করার আগে এর সব দিক ভালো ভাবে জেনে নিয়ে আটঘাট বেঁধে তবেই বিনিয়োগে নামা উচিত। কারণ বিনিয়োগকারীর হাতে সঠিক তথ্য না-থাকলে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যেতে পারে।
সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শুনতে হবে:
গণপতির কান বিশালাকৃতির। মনে করা হয় যে, ভগবান গণেশ সকলের কথাই শোনেন। একই ভাবে এক জন বিনিয়োগকারী হিসেবে বিশেষজ্ঞ এবং বাজার বিশ্লেষকদের কথাও মনোযোগ সহকারে শোনা উচিত। বিনিয়োগের বিকল্পগুলি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করার পর আর্থিক উপদেষ্টার পরামর্শে অর্থ বিনিয়োগ করলেই লাভবান হওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: প্রতি তিন বছরে দ্বিগুণ হয় বিনিয়োগকারীদের টাকা! আশ্চর্যজনক এই মিউচুয়াল ফান্ড
লক্ষ্যে অবিচল:
মহর্ষি বেদব্যাসের সঙ্গে মহাভারত রচনা করেছিলেন ভগবান গণেশ। এক মুহূর্তের জন্যও তাঁর কলম থামেনি। গোটা মহাভারত লিখতে তাঁর সময় লেগেছিল ৩ বছর। এর থেকেই বোঝা যায়, গণেশ তাঁর লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন। বিনিয়োগকারীদেরও তাঁর থেকে এটা শিখতে হবে। যে কোনও পরিস্থিতিতেই লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হওয়া চলবে না। মনে রাখতে হবে যে, লক্ষ্য অনুযায়ী কৌশল তৈরি করে অর্থ বিনিয়োগ করলে বড় তহবিল তৈরি হতে সময় লাগবে না।
শান্ত থাকতে হবে:
লম্বোদর নামে ভগবান গণেশের ভাব-ভঙ্গি দেখে মনে হয়, কোনও কিছুতে তাঁর তাড়াহুড়ো নেই। সদাই ধীর-স্থির ভাব। এর থেকে যেটা শিক্ষনীয়, সেটা হল - বিনিয়োগকারীদের সব সময় বড় লক্ষ্য রাখতে হবে, সঙ্গে ধরতে হবে ধৈর্যও। অর্থাৎ শেয়ার বাজারের উত্থান-পতন যা-ই হোক না-কেন, ধৈর্যের সঙ্গে লক্ষ্য স্থির রাখতে হবে।
মোদকের মতো লাভের দিকে নজর:
ভগবান গণেশের কাছে সর্বদা মোদক অর্পণ করা থাকে। বিনিয়োগকারীদেরও কখনই লাভের অঙ্ক থেকে নজর সরানো উচিত নয়। মিউচুয়াল ফান্ড হোক কিংবা শেয়ার বাজার। রিটার্নের উপর সর্বদা নজর রাখতেই হবে। তবেই ক্ষতির আন্দাজ পাওয়া যাবে। আর তা থেকে রক্ষা পেতে করা যাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও।
নমনীয়তার মাধ্যমে বাধা অতিক্রম করতে হবে:
ভগবান গণপতির লম্বা শুঁড় নমনীয়তা পাঠ দেয় বিনিয়োগকারীকে। আসলে এক জন বিনিয়োগকারীর পোর্টফোলিও এবং বিনিয়োগ সংক্রান্ত আচরণে নমনীয়তা আনা উচিত। তা-হলেই পথের বাধা দূর হবে। আবার ভগবান গণেশকে বিঘ্নহর্তাও বলা হয়, কারণ তিনি তাঁর ভক্তদের পথের বাধা দূর করেন।