আরও পড়ুন: মহিলারা পাবেন দ্বিগুণ সুবিধা, জানুন এলআইসি-র ধন রেখা পলিসি নিয়ে!
সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে আইসিআইসিআই সিকিউরিটিজ (ICICI Securities)। আর ওই রিপোর্টে টাটা কনজিউমার প্রোডাক্টস লিমিটেডের স্টকগুলি কেনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিনিয়োগকারীদের। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, শেয়ার প্রতি ৯২৫ টাকার লক্ষ্য মূল্যে ওই সব স্টক কিনতে পারেন বিনিয়োগকারীরা। টাটা কনজিউমার প্রোডাক্টস লিমিটেডের যুগান্তকারী সফর ২০২১-২২ অর্থবর্ষেও (FY22) অব্যাহত ছিল। এর ডিস্ট্রিবিউশন প্রক্রিয়ার বিস্তার অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এগিয়েছে। FY20-22-এ মার্কেট শেয়ার লাভের পরিমাণ বৃদ্ধির দরুন একাধিক নতুন পণ্যও চালু করেছে টাটা কনজিউমার প্রোডাক্টস।
advertisement
আরও পড়ুন: বাড়তে চলেছে পিপিএফ-সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনার সুদের হার ? কী জানাল বিশেষজ্ঞরা
স্টকের মূল্যের ইতিহাস:
গত ২৩ জুন কোম্পানির স্টকটি খোলার সময় দেখা যায়, আগের দিনের তুলনায় তার দাম বেড়েছে ১.২৮ শতাংশ। গত কাল খোলার সময় শেয়ার প্রতি এর মূল্য ৭১০ টাকা এবং বন্ধ হওয়ার সময় স্টকটির মূল্য ছিল শেয়ার প্রতি ৭১৮.৪৫ টাকা। ২০২২ সালের ৭ মার্চ স্টকটি ৫২ সপ্তাহের সর্বনিম্ন স্তর ৬৫০.২০ টাকা প্রতি শেয়ারে এবং ৫২ সপ্তাহের সর্বোচ্চ স্তর ৮৮৯ টাকা প্রতি শেয়ারে পৌঁছেছিল। গত ৩ বছরে স্টকটি ১৭৪.৪৩ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন দিয়েছে এবং গত ৫ বছরে এই স্টকটি ৩৭৫.৩২ শতাংশের বড়সড় মাল্টি-ব্যাগার রিটার্ন দিয়েছে।
বিনিয়োগের যুক্তি:
টাটা কনজিউমার প্রোডাক্টস লিমিটেড-এর পরিবর্তনশীল যাত্রা FY22-এ অব্যাহত ছিল। এর ডিস্ট্রিবিউশন প্রক্রিয়ার বিস্তার অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এগিয়েছে। FY20-22-এ প্রিমিয়ামাইজেশন এবং মার্কেট শেয়ার লাভের পরিমাণ বৃদ্ধি করার জন্য একাধিক নতুন পণ্য চালু করা হয়েছে। বিজ্ঞাপন ব্যয় FY21-এ ছিল ৬.৩ শতাংশ। FY22-এ তা বেড়ে হয়েছে ৬.৮ শতাংশ। তবে এখনও ৭.৭ শতাংশ অর্থাৎ প্রাক-কোভিড স্তরের চেয়ে কম। এছাড়া FY22-এ, কার্যকরী মূলধন বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭১ দিন, যেখানে FY21-এ যা ছিল ৩৯ দিন।
বিশ্লেষকদের মতামত:
আইসিআইসিআই সিকিউরিটিজ ৯২৫ টাকার লক্ষ্য মূল্যের সঙ্গে টাটা কনজিউমার প্রোডাক্টসের স্টক কেনার কথা বলেছে। বর্তমানে টাটা কনজিউমার প্রোডাক্টের বাজার মূল্য ৭১৪.৮৫ টাকা। জেফরিজ (Jefferies) এই মাসের শুরুর দিকে স্টকে কভারেজ শুরু করার সময় বলেছে যে র্যালি এখনই থামবে না। আগামী ১২ মাসের জন্য ব্রোকার বুল কেস টার্গেট ১০৬০ টাকা (৪০ শতাংশ ঊর্ধ্বমুখী) এবং বেস কেস টার্গেট ৯৬০ টাকা (২৮ শতাংশ ঊর্ধ্বমুখী) নির্ধারণ করেছে।
আরও পড়ুন: আয় কম হলেও দাখিল করতে হবে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন! কারা থাকছেন এই নিয়মের আওতায়?
জেফরিজ-এর ইক্যুইটি অ্যানালিস্ট বিবেক মহেশ্বরী (Vivek Maheshwari) জানাচ্ছেন যে, টাটা গ্রুপের কনজিউমার ব্যবসার একত্রীকরণের কারণেই আজ টাটা কনজিউমার খাদ্য এবং পানীয়ের মতো পণ্যের অন্যতম প্রধান সংস্থা। তাঁর মতে, এই সংস্থার সবথেকে বড় শক্তি হল এর লবণ এবং চায়ের ব্যবসা। লবণের ক্ষেত্রে বাজারে প্রায় ৩৮ শতাংশ শেয়ারের সঙ্গে শীর্ষে রয়েছে টাটা কনজিউমার। আর প্যাকেটজাত চায়ের ক্ষেত্রেও বাজারে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এই সংস্থা। এ-ক্ষেত্রে বাজারে এর শেয়ারের পরিমাণ প্রায় ২২ শতাংশ।