গোটা বিশ্ব জুড়ে যখন এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি চলছে তখন কিছু মানুষ ধনী থেকে আরও ধনী হয়ে উঠেছেন। ফিনবোল্ডের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে অর্থাৎ করোনা অতিমারী চলাকালীন বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি সংস্থাগুলির সিইও-দের বোনাস ৪০০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে ১৫৮৬ শতাংশ লাভের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি মুনাফা লুটেছেন ব্রডকমের সিইও স্ট্যান হক অ্যাং। পিছিয়ে নেই অ্যাপল, ওরাকল-এর সিইওরাও।
advertisement
ওরাকল: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কম্পিউটার হার্ডওয়্যারের প্রবাদপ্রতিম কোম্পানি ওরাকল। করোনা অতিমারী চলাকালীন ওরাকলের সিইও সাফরা অ্যাডা ক্যাটজের বোনাস বৃদ্ধি পেয়েছে ৯৯৯.৫২ শতাংশ। তাও এক বছরের মধ্যে, যা এককথায় অবিশ্বাস্য। ২০২০ সালে তিনি ১ মিলিয়ন ডলার বোনাস পেয়েছিলেন। তার পরের বছরই অর্থাৎ ২০২১ সালে তাঁর প্রাপ্ত বোনাসের পরিমাণ দাঁড়ায় ১০.৬ মিলিয়ন ডলার।
আরও পড়ুন: বদলে গেল নিয়ম, এখন আইপিও বিনিয়োগকারীরা ইউপিআই বা মেসেজ মারফত খবর পাবেন!
ইনটেল: বিশ্বের সর্ববৃহৎ সেমি কন্ডাক্টর চিপ প্রস্তুতকারক সংস্থা ইনটেল। এরাই মাইক্রোপ্রসেসরের এক্স৮৬ সিরিজের আবিষ্কারক, বেশিরভাগ ব্যক্তিগত কম্পিউটারে এই প্রসেসরটি দেখা যায়। অতিমারীকালে ইনটেলের সিইও প্যাট্রিক গেলসিঞ্জারের বোনাস বেড়েছে ৭১৩.৬৪ শতাংশ। ২০২০ সালে প্যাট্রিক ২২ মিলিয়ন ডলার বোনাস পেয়েছিলেন। ২০২১ সালে তাঁর বোনাসের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৭৯ মিলিয়ন ডলার।
আরও পড়ুন: পুরনো ওয়াশিং মেশিন কিনছে বিশ্বের নামী কোম্পানিগুলি, কেন? পুরো বিষয়টা জানুন!
অ্যাপল: আধুনিক প্রযুক্তির দুনিয়ায় অ্যাপ অন্যতম জনপ্রিয় ব্র্যান্ড। স্বাভাবিকভাবে কোম্পানির সিইও টিম কুক সর্বোচ্চ বোনাস প্রাপকদের একজন। তাঁর বোনাস বেড়েছে ৫৭১.৬২ শতাংশ। অতিমারীর চূড়ান্ত সময় অর্থাৎ ২০২০ সালে ১৪.৭ মিলিয়ন বোনাস পেয়েছিলেন কুক। ২০২১ সালে সেটা বেড়ে দাঁড়ায় ৯৮.৭ মিলিয়ন ডলার।
অ্যামাজন: বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় প্রথমের দিকেই থাকে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। করোনার কারণে খুচরো বিক্রেতাদের দোকান বন্ধ হওয়ার পর থেকে ই-কমার্স খাতে বাড়বাড়ন্ত। ফলে লাফিয়ে বেড়েছে অ্যামাজনের শেয়ার দরও। এহেন কোম্পানির সিইও-ই বা বোনাসে পিছিয়ে থাকে কী করে! অতিমারী চলকালীন মোটা অঙ্কের টাকা বোনাস পেয়েছেন অ্যামাজনের সিইও অ্যান্ডি জ্যাসিও। তাঁর বোনাস বেড়েছে ৪৯১.৯ শতাংশ। ২০২০ সালে অ্যান্ডি ৩৫.৮ মিলিয়ন ডলার বোনাস পেয়েছিলেন। ২০২১ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২১১.৯ মিলিয়ন ডলার।