আরও পড়ুন: FD Interest Rate: ব্যাঙ্ক অফ বরোদার গ্রাহকদের জন্য বড় সুখবর, FD-তে মিলবে বেশি সুদ
সিবিডিসি (CBDC) হল নগদ টাকার একটি ডিজিটাল আকার, যা দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক দ্বারা জারি করা আইনি টেন্ডার। এটি নগদ মুদ্রার মতই বিনিময়যোগ্য। আরবিআই-য়ের ডিজিটাল কারেন্সি, ফিয়াট মুদ্রার মতোই হবে বলে জানা গিয়েছে। ব্যবহারকারীর কাছে একটি মোবাইল অ্যাপ ও অনলাইন ওয়ালেট থাকলেই এই মুদ্রা লেনদেন করা যাবে। নগদ ১০০ টাকা ও ডিজিটাল ১০০ টাকার মধ্যে কোনও পার্থক্য থাকছে না। দু’টির মানই সমান। শুধু একটি নগদ ও একটি ডিজিটাল।
advertisement
ইউপিআই-এর বদলে ডিজিটাল মুদ্রা?
এই মুহূর্তে সাধারণ মানুষ ডিজিটাল লেনদেনের জন্য ইউপিআই বা ইউনিফায়েড পেমেন্ট ইন্টারফেস ব্যবহার করেন। এখন ডিজিটাল মুদ্রা বাজারে চলে এলে, ইউপিআই-এর বদলে সিবিডিসি দিয়েই যাবতীয় ডিজিটাল লেনদেন করা যাবে। তবে কোথায় এটা ব্যবহার করা হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল, সিবিডিসি কীভাবে কাজ করবে এবং এটা কীভাবে ইউপিআই-এর থেকে আলাদা হবে?
নগদের পরিবর্তে ব্যবহার
পিডব্লিউসি ইন্ডিয়ার পার্টনার এবং পেমেন্টস ট্রান্সফরমেশন লিডার মিহির গান্ধী বলছেন, ডিজিটাল কারেন্সি নিজেই একটা পেমেন্ট মোড। নগদের বদলে ডিজিটাল পেমেন্টের জন্য এটা ব্যবহার করা হতে পারে। এটুকু স্পষ্ট যে সিবিডিসি বাজারে এলে আর্থিক লেনদেন আরও সহজ এবং মসৃণ হবে। বর্তমানে কাগুজে নোটের সমমানের মাধ্যমে ডিজিটাল লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন: Gold Price Today: সোনার দামে বড় পতন! আজকের দাম জানলে চমকে যাবেন আপনিও ....
সাধারণ টাকার থেকে আলাদা নয়
ডিজিটাল মুদ্রা সাধারণ কাগুজে নোটের থেকে আলাদা নয়। এনইএফটি, ইউপিআই-এর মতো সাধারণ লেনদেনের জন্য এটা তাই অনায়াসে ব্যবহার করা যাবে। তবে ইউপিআই এমন একটি সিস্টেম যা একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টকে একটি একক মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে (যেকোনও অংশগ্রহণকারী ব্যাঙ্কের), বিভিন্ন ব্যাঙ্কিং ফিচার্স, নিরবিচ্ছিন্ন তহবিল রাউটিং এবং মার্চেন্ট পেমেন্টকে একত্রিত করে। ফলে লেনদেনে কিছুটা বিলম্ব হয়। ডিজিটাল মুদ্রা সরাসরি আরবিআই-এর সঙ্গে লেনদেন করবে। তাই কাজ হবে সহজে এবং দ্রুত।
ইলেকট্রনিক আকারে অ্যাকাউন্টে দেখা যাবে
ব্লকচেন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি হবে ডিজিটাল মুদ্রা। কাজ করবে সাধারণ নোটের মতোই। এমনকী কাগুজে নোটের সঙ্গে তা বিনিময়ও করা যাবে। কত ডিজিটাল মুদ্রা জমা আছে তা ইলেকট্রনিক আকারে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে দেখা যাবে।