তাই পেট চালাতে বেছে নিয়েছেন নতুন পেশা। এখন তিনি বহুরূপী সেজে মানুষের কপালে টিপ পরিয়ে উপার্জন করেন। জীবন সংগ্রামের লড়াই যে ঠিক কতটা কঠিন, তা হয়তো কিছুটা বোঝা যায় বছর ৫৬ এই প্রৌঢ়কে দেখলে।
advertisement
বর্ষায় সাপ-খোপ ঢুকে পড়ছে ঘরে? বাড়ির চারপাশে লাগান এই ৫ গাছ, প্রাকৃতিক ভাবে মিলবে ‘রক্ষা কবচ’!
রোজগারের তাগিদেই তিনি মুখের রং মেখে মাথায় পট চুল লাগিয়ে কখনও সাজেন কালি, কখনও বা মহাদেব। এই যেমন মাহেশের রথযাত্রার দিনে তিনি মাহেশে উপস্থিত হয়েছিলেন মহাদেব সেজে। এখানে এসে বিভিন্ন ভক্তদের কপালে টিপ পরানোর কাজ করছিলেন। তাতে খুশি হয়ে ভক্তরা যা দেন, তাই দিয়েই চলে তাঁর সংসার। সংসারে বউ, ছেলে, মেয়ে সকলেই রয়েছে। যদিও ছেলেরা বড় হয়ে আলাদা হয়ে গেছে, তাদের সংসার আলাদা। আর এখন তিনি তাঁর স্ত্রী ও তাঁর দুই পোষ্যকে নিয়ে চলে সংসার। সংসার চালানোর জন্য তিনি বিভিন্ন মেলা, অনুষ্ঠান বাড়ির এই সমস্ত জায়গায় হাতে-মুখে রং লাগিয়ে সং সেজেই উপার্জন করেন।
আগে যখন চায়ের দোকান ছিল তাঁর, সেই চায়ের দোকান থেকেই তাঁর উপার্জন চলতো। এখন উপার্জন করতে গেলে হাঁটতে হয় তাঁকে মাইল এরপর মাইল। শুক্রবার রথযাত্রায় মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরে মহাদেব সেজে তিনি যখন উপস্থিত হন, তাঁকে দেখে বেশ কিছু উৎসুক মানুষ এগিয়ে আসেন তাঁর কাছে টিপ পরতে। দশ টাকা, পাঁচ টাকা যে যেমন দেন, তাই দিয়েই হয় তাঁর উপার্জন। যদি কোনোদিনও কপাল ভালো থাকে, ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত তিনি উপার্জন করে নেন। আর কোনো কোনো দিন আবার তেমন কিছুই হয় না। জীবনে অনেক কষ্ট আছে। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে তিনি। পেট চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় তাঁকে। তবুও সদা হাসিমুখে মানুষের ভিড়ের মধ্যে মিশে মানুষকে আনন্দ দিয়ে নিজের দুঃখ ঢাকেন হালিশহরের অশোক মজুমদার।
রাহী হালদার