চলতি মাসের গোড়ার দিকেই কেন্দ্রীয় বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের (Union Aviation Ministry) তরফে জানানো হয়েছিল, প্রায় ২৭ মাস আগে ঘরোয়া উড়ানের ভাড়ার উপর চাপানো উর্ধ্বসীমা সরিয়ে নেওয়া হবে। আবার অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক (Civil Aviation Ministry) একটি নির্দেশিকা জারি করে জানায় যে, উড়ানে ভ্রমণের চাহিদা ক্রমবর্ধমান চাহিদার বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: মূল্য বৃদ্ধির বাজারে সস্তায় পেতে চান বিমানের টিকিট! বেছে নিন এই ৮টি কৌশল
দেশের অভ্যন্তরে চলাচলকারী বিমানের ভাড়া কমবে?
আজ অর্থাৎ ৩১ অগাস্ট থেকে অভ্যন্তরীণ বিমান ভাড়ার আর উর্ধ্বসীমা থাকছে না। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, এ বার কি ডোমেস্টিক বিমান ভাড়া কমে যাবে। সূত্রের খবর বলছে, যাত্রীদের জন্য কোনটা উপযুক্ত সেটা পর্যালোচনা করেই এয়ারলাইন ভাড়া ধার্য করতে পারবে। ফলে আরও পর্যটকদের আকর্ষণ করতে বিমান সংস্থাগুলি উড়ানের টিকিটের উপর বিভিন্ন রকম দুর্দান্ত ছাড়ও দিতে পারে। তবে আগে এই ছাড় বা ডিসকাউন্ট দিতে পারছিল না বিমান সংস্থাগুলি। কারণ সরকারই ডোমেস্টিক উড়ানের ভাড়ার উর্ধ্ব এবং নিম্নসীমা বেঁধে দিয়েছিল।
সরকার কেন ডোমেস্টিক বিমান ভাড়ার উর্ধ্বসীমা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল?
বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia) ট্যুইট করে জানিয়েছেন যে, "রোজকার চাহিদা এবং বিমানের জ্বালানির (ATF) দামের কথা বিশ্লেষণ করেই বিমান ভাড়ার উর্ধ্বসীমা কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে, আর আমরা নিশ্চিত যে, ভবিষ্যতে দেশের অভ্যন্তরীণ বিমান যাতায়াতের ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটবে।"
আরও পড়ুন: সাধ্যের বাইরে বিমানসফর? এই সব উপায়ে কম দামে পেতে পারেন উড়ানের টিকিট
গত ২৪ ফেব্রুযারি থেকে শুরু হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War)। আর তার জেরে গত কয়েক মাসে রেকর্ড মাত্রায় পৌঁছেছে বিমানের জ্বালানির মূল্য। তবে গত কয়েক সপ্তাহে জ্বালানির দাম কিছুটা হলেও কমেছে।
কেন সরকার ডোমেস্টিক বিমান ভাড়ার উপর উর্ধ্বসীমা এবং নিম্নসীমা ধার্য করেছিল?
২০২০ সালের মে মাসে ঘরোয়া বিমানের ভাড়ার উপর উর্ধ্ব ও নিম্ন সীমা আরোপ করেছিল সরকার। কারণ সেই সময় দেশ জুড়ে করোনা লকডাউন চলার পর ফের বিমান চলাচল শুরু হয়েছিল। গত বছর অক্টোবর মাসে সরকার ১০০ শতাংশ যাত্রী ধারণের অনুমতি দেয়। মূল্য নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি এটাও চলতে থাকে। ঘরোয়া বিমান ভাড়ার নিম্নসীমা রাখা হয়েছিল আর্থিক ভাবে দুর্বল বিমান সংস্থাগুলির জন্য। আর যাত্রীদের প্রচুর ভাড়ার চাপ থেকে বাঁচানোর জন্য উর্ধ্বসীমা বেঁধে দিয়েছিল সরকার।
উদাহরণ স্বরূপ, এত দিন ৪০ মিনিটের কম সময়ের উড়ানের জন্য যাত্রীদের থেকে ২৯০০ টাকার (জিএসটি বাদ দিয়ে) কম এবং ৮৮০০ টাকার (জিএসটি বাদ দিয়ে) বেশি চার্জ করতে পারত না উড়ান সংস্থাগুলি!