তবে বিষয়টির গোপন সূত্র সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছে যে, হলদিরামস-এর প্রস্তাবিত ১০ বিলিয়ন ডলারের বড় পরিমাণ অর্থের জন্য এখন ঝাঁপিয়ে পড়েছে টাটা। হলদিরামস-এর নাম এখন ঘরে ঘরে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এদিকে আবার নিজেদের সংস্থার ১০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করার জন্য বাইন ক্যাপিটাল-সহ বেসরকারি ইক্যুইটি ফার্মগুলির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছে হলদিরামস।
advertisement
এই আলাপ-আলোচনা সফল হলে প্রতিযোগিতামূলক ভারতীয় কনজিউমার বাজারে পেপসি এবং মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স রিটেলের সঙ্গে সরাসরি ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্ষম হবে এই সংস্থা। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, টাটা কনজিউমার প্রডাক্টস হল একটি সমষ্টির অন্যতম অঙ্গ। আর এর সঙ্গেই ব্রিটেনের চায়ের সংস্থা টেটলি এবং স্টারবাকস ইন ইন্ডিয়ার পার্টনারশিপ রয়েছে। বর্তমানে হলদিরামস-এর শেয়ার কেনার জন্য রীতিমতো দর কষাকষি করছে তারা।
আরও পড়ুন– দিল্লির কনট প্লেসের মালিক কে? জেনে নিন এই বিষয়ে আরও নানা মজার তথ্য
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, ৫১ শতাংশেরও বেশি পরিমাণ শেয়ার অধিগ্রহণের বিষয়ে আগ্রহ প্রদর্শন করেছে টাটা। এমনকী, এই প্রসঙ্গে হলদিরামস-এর কাছে এও জানিয়েছে যে, মূল্যায়নের চাহিদা যথেষ্ট উপরের দিকেই রয়েছে। সেই সঙ্গে ওই সূত্র থেকে আরও জানা গিয়েছে যে, সম্ভাব্য এই অধিগ্রহণ টাটা-র জন্য দুর্দান্ত একটা সুযোগ। কারণ এত দিন টাটা (কনজিউমার)-কে চায়ের কোম্পানি হিসেবেই গণ্য করা হত। আর কনজিউমার ক্ষেত্রে হলদিরামস অত্যন্ত বড় একটি নাম। আর তাদের একটা বিশাল মার্কেট শেয়ারও রয়েছে।
আরও পড়ুন– লখনউয়ের নবাবি শাহি খানার স্বাদ এবার কলকাতায়; সৌজন্যে ‘অওয়াধ কামস টু কলকাতা’
যদিও এটাই প্রথম নয় যে, এই পারিবারিক ব্যবসায় কোনও সংস্থা আগ্রহ দেখিয়েছে। এর আগেও বিভিন্ন সংস্থা হলদিরামস-এর বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছিল। যেমন – ২০১৯ সালে হলদিরামস-এর শেয়ার কেনার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছিল মার্কিন সংস্থা কেলগস। সিরিয়াল ক্যাটাগরির বাইরেও নিজেদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে চেয়েছিল তারা। কথা হলেও বিষয়টা আর বাস্তবায়িত হয়নি। আর একটি রিপোর্টে এ-ও জানা গিয়েছিল যে, বেসরকারি ইক্যুইটি ফার্ম জেনারেল অ্যাটলান্টিক এই ফুড ব্র্যান্ডের ১০ শতাংশ শেয়ার কিনতে চায়।
প্রসঙ্গত হলদিরামস-এর প্রথম দোকানটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল ১৯৩৭ সালে। ভুজিয়া স্ন্যাকসের জন্য প্রসিদ্ধ হয়ে ওঠে এই সংস্থা। সারা দেশে হলদিরামস-এর বিভিন্ন ছোট-বড় দোকানে এই ভুজিয়া পাওয়া যায় মাত্র ১০ টাকায়। এখানেই শেষ নয়, দেশের বাইরে সিঙ্গাপুর এবং আমেরিকার মতো জায়গাতেও হলদিরামস-এর স্ন্যাকস জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। বর্তমানে এই সংস্থার প্রায় ১৫০ রেস্তোরাঁ রয়েছে। যেখানে স্থানীয় খাবারের পাশাপাশি মিষ্টি এবং পশ্চিমি খাবারও পাওয়া যায়।