ইনডেক্সের ব্যবহার: উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিনিয়োগকারীদের জন্য অভিশাপ। তবে কারও কারও কাছে আশীর্বাদস্বরূপ। ট্যাক্স আইনে বিনিয়োগকারীদের হোল্ডিং পিরিয়ডের সময় মুদ্রাস্ফীতি সূচক সুবিধা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন লাভের উপর ১০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ট্যাক্স বাঁচাতে পারেন। অর্থাৎ যদি কেউ তিন বছর আগে ডেট ফান্ড বা ডেট ভিত্তিক এমআইপি স্কিমে বিনিয়োগ করে বার্ষিক ১০ শতাংশ রিটার্ন পান তাহলে তাঁর ট্যাক্স দায় শূন্য।
advertisement
স্ত্রী যদি চাকরি না করে তাহলে তাঁর মাধ্যমে বিনিয়োগ: গৃহবধূদের কাজের শেষ নেই। বাচ্চাদের দেখভাল থেকে শুরু করে সংসার সামলানো। তাঁরা যদি বিনিয়োগ করেন তাহলে কর ছাড় পাওয়া যায়। তবে ব্যাপারটা সহজ নয়। স্ত্রীকে টাকা দিলে তা করমুক্ত। কিন্তু সেই টাকা বিনিয়োগ করলে করদাতার আয়ের সঙ্গে ‘ক্লাব’ করে যায়। প্রশ্ন উঠতে পারে, তাহলে লাভ কী হল? ক্লাবিং শুধুমাত্র আয়ের প্রথম স্তরে ঘটে। যদি সেই টাকা পুনঃ বিনিয়োগ করা হয় এবং তা থেকে আয় হয়, তাহলে তা স্ত্রীর উপার্জন, ব্যক্তির নয়।
সামান্য ছাড়ের সুবিধা: পিতামাতা যদি নাবালক সন্তানের নামে বিনিয়োগ করেন তাহলেও ক্লাবিং হয়। তবে এই ধরণের বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্জিত আয়ে বার্ষিক ১৫০০ টাকার ছাড় দেওয়া হয়। সর্বাধিক দুই সন্তানের জন্য এই সুবিধা পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন, সেপ্টেম্বরের শেষেই ভারতীয় রেলে উৎসবের মরশুম! দার্জিলিং মেল, পদাতিকে বড় খবর
আরও পড়ুন, কথা দিয়েছিলেন অভিষেক, ঘোষণা করে দিলেন মমতা! ধূপগুড়ির জন্য বিরাট আনন্দ সংবাদ
প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের সাহায্য: প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের নামে বিনিয়োগ করেও ট্যাক্স-সঞ্চয় করা যায়। ১৮ বছর বয়স হলেই তাকে ট্যাক্স আইন অনুযায়ী তাঁকে আলাদা ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অর্থাৎ তার উপার্জন আর পিতামাতার আয়ের সঙ্গে ক্লাব করবে না। ফলে তিনি অন্যান্য করদাতার মতোই একই ছাড় পাবেন।