এ নিয়ে আতিয়ার রহমান খান নামের এক শুঁটকি ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ যার জেরে বাংলাদেশে সেইভাবে মাছ পাঠানো যাচ্ছে না। বাংলাদেশে এই শুঁটকির বড় বাজার ছিল।
এমনিতেই আমেরিকা শুল্ক চাপানোর পর ক্ষতি হচ্ছিল। তার উপর নতুন করে মেক্সিকো শুল্ক চাপিয়েছে। এদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের শীতলতা কাটতে শুরু করলে এই দেশ দিয়ে চিন-সহ আরও অন্যান্য দেশে পাঠানো যাচ্ছিল।
advertisement
নতুন করে সেইসব বন্ধ হয়েছে। ফলে বিপুল পরিমাণে উৎপাদন হলেও বিক্রি হচ্ছে না। সুন্দরবনের শুঁটকি শিল্পে প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষের জীবিকা জড়িত। নদীতে মাছ ধরা থেকে শুরু করে চাতালে শুকানো, পরিবহণ প্যাকেটিং সবই মিলেই এক বিশাল বাজার।
ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের সাম্প্রতিক টানাপোড়নে এই জীবিকা এক অনিশ্চিত অন্ধকারের দিকে চলে গিয়েছে। বর্তমানে শ্রীলঙ্কা ও চীনে শুঁটকি পাঠানো যাচ্ছে কম পরিমাণে।
আরও পড়ুন: কলকাতা-ভুটান সরাসরি বিমান পরিষেবা, এক ফ্লাইটেই এবার গেলফু! মাথাপিছু ভাড়া কত?
বর্তমানে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বাণিজ্যিক সীমাবদ্ধতার কারণে সীমান্ত দিয়ে রফতানি প্রায় বন্ধ। ফলে এই ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত সকলেই চাপের মুখে। সমস্যার সমাধান না হলে পরের বছর অনেকেই ব্যবসা বন্ধ করে দিতে পারেন। ফলে পরের বছর থেকে সমস্যা আরও বাড়বে। এখন থেকেই সেজন্য সকলকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে বিষয়টি।





