এতে প্রত্যক্ষভাবে সাধারণ মানুষের পকেটে যে কোপ পড়ল তাতে কোনও সন্দেহ নেই। পরোক্ষভাবে সমস্যাও আরও বাড়ল। দুধের দাম বৃদ্ধির কারণে দুগ্ধজাত দ্রব্যেরও যে দাম বাড়বে বলাই বাহুল্য। এখন কোম্পানিগুলোর কাছে এই বৃদ্ধির বোঝা মোকাবিলার জন্য ২টি বিকল্প পথ রয়েছে। একটি হল পণ্যের আকার কমিয়ে দাম একই রেখে স্থিতাবস্থা বজায় রাখা। না হলে দাম বাড়ানো।
advertisement
আরও পড়ুন: আধার কার্ডের উপর ৫ লক্ষ টাকা লোন দিচ্ছে সরকার ?জেনে নিন সত্যিটা না হলে ঠকতে হবে
কোন পণ্যের দাম বাড়তে পারে: দুধের দাম বাড়ার পর তা থেকে তৈরি পণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে দই, ঘি, আইসক্রিম, কিছু চকলেট, লস্যি, পনির, মাখন, দই এবং গুঁড়ো দুধ। এ ছাড়া সে সব পণ্যের দামও বাড়তে পারে যেগুলো সম্পূর্ণ দুধ থেকে তৈরি না হলেও দুধ ব্যবহার করা হয়। যেমন ফ্রুট শেক, ক্ষীর, মিষ্টি ইত্যাদি।
নতুন দাম কত: দাম বৃদ্ধির পর, ৫০০ মিলি আমুল গোল্ড এখন ৩১ টাকায়, আমুল তাজা ২৫ টাকায় এবং আমুল শক্তি ২৮ টাকায় পাওয়া যাবে। অন্য দিকে, মাদার ডেয়ারির ক্ষেত্রে, ১ লিটার ফুল ক্রিম ৬১ টাকা, টন ৫১ টাকা, ডবল টন ৪৫ টাকা এবং গরুর দুধ ৫৩ টাকায় মিলবে।
আরও পড়ুন: মেরামত করে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বাতিল প্লেন, ফ্লাইট সংখ্যা বাড়াচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়া
কেন দাম বাড়ল: গুজরাত কো-অপারেটিভ মিল্ক মার্কেটিং ফেডারেশন, যা আমুল ব্র্যান্ডের অধীনে দুধ বিক্রি করে, বলেছে যে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির পরিপ্রেক্ষিতে দাম বাড়ানো দরকার ছিল। তাদের কথায়, ‘গত বছরের তুলনায় গবাদি পশুর চারার দাম ২০ শতাংশ বেড়েছে, অন্য দিকে আমরা কৃষকদের গত বছরের তুলনায় ৮ থেকে ৯ শতাংশ বেশি মূল্য পরিশোধ করছি। এমতাবস্থায় আমাদের কাছে দাম বাড়ানো ছাড়া কোনও উপায় ছিল না’। একই সঙ্গে মাদার ডেয়ারিও দুধের দাম বাড়ানোর পিছনে প্রায় একই যুক্তি দিয়েছে। তাদের দাবি, কাঁচা দুধের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১১ শতাংশ। গুজরাত কো-অপারেটিভ মিল্ক মার্কেটিং ফেডারেশন বলছে যে দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য থেকে অর্জিত প্রতি ১ টাকার মধ্যে ৮০ পয়সা উৎপাদনকারীদের দেওয়া হয়।