বছর আটেক আগে বিয়ে। স্বামী ভিনরাজ্যে কাজ করেন কম্পিউটারে এমব্রয়ডারি। আয় ভাল,সংসার চলে। তবু একা বাড়িতে বসে সময় নষ্ট করতে চাননি এই মহিলা। মাথায় আসে নিজের কিছু করার ইচ্ছে। নিজের পরিচয় গড়ার কথা।এবং সেখান থেকেই শুরু হয় তাঁর পথচলা।সাইকেলে বাজারে গিয়ে আলুর বস্তা টেনে আনা,সকাল থেকে সংসারের কাজ সেরে আটা সুজি মাখা,তারপর দলা পাকিয়ে ফুচকা বেলা।সন্ধে নামতেই তেঁতুলতলা বাজারের এক বাঁক মোড়ে তাঁর ফুচকার দোকান।দিনে ৫০০–৭০০ ফুচকা বিক্রি হয়।আজ আবার পাশের গ্রামের এক জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ২ হাজার ফুচকার অর্ডার।
advertisement
রান্না বান্না সেরে এখন তিনি ব্যস্ত সেই প্রস্তুতিতে।এখন নিশ্চয়ই নাম জানতে ইচ্ছে করছে আপনার?হ্যাঁ এই অনমনীয় মহিলার নাম সঞ্চিতা।মাধ্যমিক পাশ, কিন্তু সাহস আর পরিশ্রমে তিনি আজ অনেকের থেকেও বড়। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় সুনাম পেয়েছেন সঞ্চিতা। ধীরে ধীরে তার ফুচকার দোকান গ্রামের পরিচয়ের অংশ হয়ে উঠেছে।আজ সঞ্চিতা শুধু গৃহবধূ নন তিনি একজন স্বনির্ভর উদ্যোক্তা।নিজের খরচ নিজে সামলান, সন্তানের প্রয়োজন মেটান, স্বামীর ভিনরাজ্যে থাকা সংসারের বোঝাও অনেকটাই হালকা করে দিয়েছেন। সবচেয়ে বড় কথা তিনি প্রমাণ করেছেন “কোনো কাজ ছোটো নয়।”
আর সঞ্চিতার বার্তা, “মোবাইল–টিভিতে ফালতু সময় নষ্ট করবেন না। নিজে কিছু করুন। পরিবারকে, নিজেকে একটু হলেও স্বনির্ভর করুন।”এক মহিলার সংগ্রাম।আজ তাঁর জেতার গল্প।দাসপুর দুই ব্লকের নৈহাটি গ্রামের সঞ্চিতা যে বদলে দিচ্ছেন সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি, আর হয়ে উঠছেন অনেক মহিলার অনুপ্রেরণা।





