শুরুটা ছিল খুব কঠিন। ৫০০ টাকা দিয়ে শুরু করলেন পশু খাদ্যের দোকান। দোকানে বিক্রি ঠিকমত হচ্ছিল না। টাকা আসত কম, খরচ বাড়ত বেশি। ব্যবসায় একের পর এক ধাক্কা আসতে থাকে। এমন অবস্থা তৈরি হয় যে তিনি বাধ্য হয়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি দেন পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ খুঁজতে যান। কিন্তু সেখানেও মিলল না কাজের সুযোগ। প্রতিটি দরজায় তাকে দেখতে হয় ‘নো ভ্যাকেন্সি’ বোর্ড। কয়েক মাস পর মন ভেঙে বাড়ি ফিরে আসেন।
advertisement
আরও পড়ুন: শীতের দিঘায় বাড়তি রোমাঞ্চ! সমুদ্রস্নান নয়, মোহনায় ছিপ হাতে মাছ ধরছেন পর্যটকরা!
বাড়িতে ফিরে তিনি ব্যবসাকে অন্যভাবে গুছিয়ে তোলেন। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে দোকানের গ্রাহক। পরিচিতি বাড়ে চারদিকে। ছোট দোকান বড় হতে শুরু করে। তারপর তিনি পশু খাদ্যের পাশাপাশি আরও কিছু নতুন ব্যবসার দিকে নজর দেন। কয়েক বছরের মধ্যেই তাঁর ব্যবসা নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। শুধু দোকান নয়—তিনি একটার পর একটা নতুন ইউনিট শুরু করেন। কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়তে থাকে। বহু সাধারণ পরিবারের ছেলে-মেয়েরা তাঁর কোম্পানিতে চাকরির সুযোগ পান।
বর্তমানে সূর্যেন্দু বিকাশ কর ‘কার গ্রুপ অফ কোম্পানিজ’-এর মালিক। তাঁর অধীনে রয়েছে চারটি কোম্পানি। রয়েছে আধুনিক ফ্যাক্টরি, স্টার ক্যাটাগরির হোটেল, একাধিক স্টোর। ১৫০ কোটি টাকার কোম্পানি। কর্মরত রয়েছেন ৪০০-রও বেশি কর্মী। একসময়ের ৫০০ টাকার একটি পশু খাদ্য দোকান আজ শত শত মানুষের রোজগারের জায়গা হয়ে উঠেছে। সূর্যেন্দু বাবু এখন এলাকার তরুণদের কাছে এক অনুপ্রেরণা। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন—পরিশ্রম, ইচ্ছাশক্তি আর আত্মবিশ্বাস থাকলে ৫০০ টাকার দোকান একদিন দেড়শ কোটি টাকার কোম্পানিতে পরিণত হয়। কাঁথির মাটিতে জন্ম নেওয়া এই উদ্যোগপতির গল্প এখন অনেক তরুণের কাছে পথ দেখানোর আলোকবর্তিকা।





