পূর্ণিয়ার বাসিন্দা খুরশিদ আলম ঝুঁকি নিয়েই নিজের জমিতে চাষ করেছিলেন বিদেশি ড্রাগন ফ্রুট। এখন তা থেকে তিনি ভাল আয় করছেন। খুরশিদ জানান, একবার বিনিয়োগ করলে পরবর্তী ২৫ বছর ভাল লাভ দেয় এই ফল। গত দু’বছর ধরে তিনি এই চাষের সঙ্গে যুক্ত।
আরও পড়ুন- স্ত্রীর সঙ্গে পোস্ট অফিসে এই অ্যাকাউন্ট খুললে প্রতি মাসে পেয়ে যাবেন ৯২৫০ টাকা !
advertisement
খুরশিদ তাঁর দুই একর জমিতে ড্রাগন ফ্রুট চাষ করেছেন। প্রথম দফায় আড়াই লক্ষ টাকার ড্রাগন ফ্রুট বিক্রি হয়েছে। এই মুহূর্তে দ্বিতীয়বার ফলনের মরশুম চলছে। এই সময়ের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৩ লক্ষ টাকার ফল বিক্রি করেছেন তিনি। ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত এই ফলন চলবে।
খুরশিদ আলম বলেন, ‘এই গাছে ফল ধরার ২৫ দিন পর তা গাছ থেকে সংগ্রহ করে নিতে হয়। ব্যবসায়ীদের কাছে প্রতি কেজি দেড়শ টাকা দরে বিক্রি হয়। প্রথমদিকে মানুষ বিষয়টা জানতেন না। তাই ফল নিয়ে বাজারে যেতে হত। এখন ব্যবসায়ীরা তাঁর খামারেই আসেন, কিনে নিয়ে যান ফল।’
ড্রাগন ফ্রুট চাষ করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় হয়েছে তাঁর। দু’একর জমি থেকে ৮ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন বলে আশা করছেন। ক্রমশ বাড়বে আয়। তৃতীয় ফলনে তিনি দশ থেকে বারো লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন, পঞ্চম বছরে সেটা গিয়ে দাঁড়াবে ১৫ লক্ষে।
খুশিদের পরামর্শ, যাঁরা বিকল্প চাষ করতে চান তাঁরা ড্রাগন ফ্রুটের কথা ভাবতে পারেন। মাসে একবার এই ফল সংগ্রহ করা যায়। কখনও ১২ কুইন্টাল, কখনও কুড়ি কুইন্টাল এমনকী ৩০ কুইন্টাল ফলনও তিনি পেয়েছেন।
আরও পড়ুন- বিশ্বসেরার খেতাব ভারতীয় হুইস্কির! ইন্দ্রির শেয়ার দর বাড়ল ২০ শতাংশ
অন্য এক কৃষককে এই ড্রাগন ফ্রুট চাষ করতে দেখেই তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন খুরশিদ। তিনি বলেন, ‘কৃষিতে একটা ঝুঁকি থেকেই যায়। এই পর্যন্ত আমি ১০ লক্ষ টাকা পেয়েছি। আগামী ২৫ বছর আয় করতে পারব এই ফল থেকে।’