কাঁচা সবুজ পান পাতা, তাতে চুন-খয়ের এমনকী, বিভিন্ন মশলা দিয়ে সাজিয়ে দেন তিনি। যেমন পছন্দ তেমনই পানের সাজ। এভাবেই দীর্ঘ অর্ধেক শতক তিনি পার করে ফেলেছেন পান বিক্রি করে। পান বিক্রি সংসার চালানোর জন্য অন্যতম পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর তার হাতে তৈরি পান যাচ্ছে দেশ ও বিদেশে। বিভিন্ন গাড়ির চালক, সাধারণ মানুষ মেদিনীপুর, খড়গপুর, কাঁথি থেকেও শুধুমাত্র একটা পান খেতে আসে তার কাছে। যেমন সুন্দর পান তেমনই মশলাও দারুণ। আর এই পানের নেশায় যেন মন মজেছে সকলের। আর এভাবেই সাধারণ গ্রাহকদের পছন্দে দীর্ঘ প্রায় পাঁচ দশক কাটিয়ে ফেলেছেন এই বৃদ্ধ।
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে সাঁতরার পানের দোকান। দোকানের মালিক তথা এককালের ফুটবলার বীরেন্দ্রনাথ সাঁতরা। এককালে অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলায় দাপিয়ে ফুটবল খেলেছেন। মাঠের যে কোনও প্রান্ত থেকে তার শট যেন সোজা গোলপোস্টে। এরপর পা ভেঙে যাওয়ায় বেলদা ছায়ামহল সিনেমা হলের কাছে ফুটপাতের উপর সামান্য পুঁজি দিয়ে শুরু করেন ব্যবসা। সিনেমা দেখতে আসা মানুষজনের কথা ভেবে পান দোকান দেন বীরেন্দ্র বাবু। এরপর দোকান বদলে এসেছেন বেলদা বাইপাস সংলগ্ন এলাকায়। প্রতিদিন প্রায় ১০০০ পাতা পান বিক্রি করেন। এতেই চলে তার সংসারের খরচ। তার হাতে তৈরি পাড়িয়ে দিয়েছে ভারতের মুম্বই, অন্ধ্রপ্রদেশ, চেন্নাই-সহ ভিন দেশেও।
কাঁচা পাতার ব্যবসা। মাত্র ৯৫ টাকা দিয়ে শুরু পানের দোকান। বেশ কয়েক হাজার টাকা রোজগার করেন প্রতিদিন। বাবা এবং ছেলে মিলে দোকান সামলান সারাদিন। তবে ষাটোর্ধ্ব এই বৃত্তের প্রতিভা এবং দীর্ঘ এত বছর ধরে পানের ব্যবসা বেশ নজর কেড়েছে জেলার মানুষের। প্রতিদিন ছোট্ট দোকানে এত সংখ্যক মানুষের ভিড় প্রমাণ করে তাঁর পানের গুনমানকে।





