আরও পড়ুন: কেন্দ্র জিএসটি বাবদ ছাড়ল ৮৬ হাজার ৯১২ কোটি! রাজ্য হাতে পেল ৬ হাজার ৫৯১ কোটি
মঙ্গলবারের সেশনে প্রায় ৩৫০ পয়েন্ট কমেছে সেনসেক্স (Sensex) এবং বন্ধ হয়েছে ৫৫৫৬৬-এ। সেখানে নিফটি (Nifty) ৭৭ পয়েন্ট কমে ১৬৫৮৫-র স্তরে বন্ধ হয়েছিল। তার আগে অবশ্য সেনসেক্স লাগাতার তিনটি সেশনে লাভ করে ২১০০ পয়েন্টের বেশি লাভ করেছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আজ অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে বিশ্ববাজারে বেশ চাপ থাকবে এবং সেখানকার বিক্রিবাটার প্রভাব পড়বে আমাদের দেশের বিনিয়োগকারীদের উপর।
advertisement
মার্কিন ও ইউরোপের বাজারেও পতন:
গত কয়েক সেশনে আমেরিকার স্টক মার্কেটগুলি বেশ জ্বলজ্বল করছিল, কিন্তু অপরিশোধিত তেলের ক্রমবর্ধমান দাম তার উপর আবার প্রভাব ফেলতে শুরু করছে। আমেরিকার প্রধান স্টক মার্কেটগুলির মধ্যে অন্যতম NASDAQ আগের সেশনে ০.৪১ শতাংশ পতন হয়ে বন্ধ হয়েছিল। এর আগে ফেড রিজার্ভের সুদের হার বেশি না-বাড়ানোর নিশ্চয়তা এবং বন্ডের ফলন হ্রাসের কারণে বাজারে লাগাতার উর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: কমিশন বৃদ্ধির দাবিতে ডিলারদের প্রতিবাদের জেরে বিকল কোটি-কোটি টাকার তেল!
আমেরিকার মতো ইউরোপেও বেড়েছে অপরিশোধিত তেলের দাম, যার প্রভাব সেখানকার শেয়ার বাজারেও দেখা যাচ্ছে। মঙ্গলবার ইউরোপের প্রায় সমস্ত বাজারেই পতন দেখা গিয়েছে। জার্মানির স্টক এক্সচেঞ্জে আগের সেশনে ১.২৯ শতাংশ পতন হয়েছে, আবার ফ্রান্সের মার্কেটেও ১.৪৩ শতাংশ পতন দেখা গিয়েছে। তবে এর মধ্যেই লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে প্রায় ০.১০ শতাংশ উত্থান দেখা গিয়েছে।
এশিয়ার বাজারেও লাল সঙ্কেত:
আজ সকাল থেকেই এশিয়ার বেশির ভাগ বাজারেই লাল সঙ্কেত দেখা যাচ্ছে। আবার কিছু কিছু জায়গায় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাও দেখা গিয়েছে। সিঙ্গাপুর স্টক এক্সচেঞ্জে আজ সকালে প্রায় ০.১৫ শতাংশের ক্ষতির মুখ দেখেছে। সেখানে হংকং স্টক মার্কেট আবার ০.২২ শতাংশ পতনে ব্যবসা করছে। তাইওয়ানের বাজারেও ০.২২ শতাংশ পতন দেখা যাচ্ছে। তবে, জাপানের নিক্কেই ০.৬৭ শতাংশ লাফ দিয়েছে। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ার কোস্পির ক্ষেত্রে ০.৬১ শতাংশ এবং চীনের সাংহাই কম্পোজিটের ক্ষেত্রে ০.০৪ শতাংশ উত্থান দেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: e-KYC আপডেট করার আজই শেষ সুযোগ! দরকার লাগবে রেশন কার্ডও
গত সেশনে প্রায় দুই মাস পর বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কিনতে শুরু করলেও দ্বিতীয় দিনেই সেই প্রবণতা ভেঙে যায়। মঙ্গলবারের ব্যবসার ক্ষেত্রে বিদেশি সংস্থাগত বিনিয়োগকারীরা প্রায় ১০০৩.৫৬ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছেন। আবার এর মধ্যেই অভ্যন্তরীণ বা দেশি সংস্থাগত বিনিয়োগকারীরা প্রায় ১৮৪৫.১৫ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছেন। তবুও বাজারের পতন কিন্তু আটকানো যায়নি।