এই প্রতিবেদনে এমন কয়েকটি বিজনেস আইডিয়া (Business idea) নিয়ে আলোচনা করা হল যেখান থেকে খুব সহজেই মাসে লক্ষ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত আয় হতে পারে। এই ব্যবসাগুলিতে খুবই কম বিনিয়োগে ভালো আয় হতে পারে এবং লোকসানের সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। এছাড়া, সবগুলিই ইন্টারনেট ভিত্তিক কাজ, সেক্ষেত্রে বাড়িতে বসেই এই ব্যবসাগুলি পরিচালনা করা যেতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন: পেট্রোল-ডিজেলের নতুন দাম জারি, এই শহরে মাত্র ৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পেট্রোল...
১. অনলাইন ক্লাস
পড়াশোনায় ভালো এবং যাঁদের কোনও একটি বিষয়ে দক্ষতা রয়েছে তারা অনলাইন ক্লাস শুরু করতে পারেন। প্রাথমিক পর্যায়ে বেশি ছাত্রছাত্রী না এলেও একবার ভালোভাবে শুরু হয়ে গেলে আয় বাড়তে শুরু করে। সিভিল সার্ভিস, ব্যাঙ্ক এবং SSC জাতীয় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন শিক্ষার্থীদের জন্য অনালাইন ক্লাস শুরু করা যেতে পারে। এছাড়া, করোনা অতিমারী পরবর্তী পরিস্থিতিতে ছোট ক্লাস থেকে শুরু করে স্নাতক, সব ক্ষেত্রেই অনলাইন ক্লাসের চাহিদা বেড়েছে। অনলাইন ক্লাস পরিষেবা প্রদান করে একাধিক মোবাইল অ্যাপ কোটি কোটি টাকা আয় করছে। অনালাইন ক্লাসের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল বেশি টাকা বিনিয়োগের প্রয়োজন হয় না এবং লোকসানের সম্ভাবনা প্রায় শূন্য।
আরও পড়ুন: এবার জলে চলবে গাড়ি! দেশের রাস্তায় খুব তাড়াতাড়ি নামতে চলেছে গ্রিন হাইড্রোজেন গাড়ি
২. ইউটিউব (YouTube) চ্যানেল
ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহার করে অতিরিক্ত আয় করার অন্যতম ভালো উপায় হল ইউটিউব চ্যানেল। ভালো কনটেন্ট পরিবেশন করতে পারলে ভিডিও বানিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা আয় করা যায়। এর জন্য শুধুমাত্র ইউটিউবে একটি চ্যানেল খুলতে হবে এবং নিয়মিত অভিনব ভিডিও আপলোড করতে হবে। কনটেন্ট জোরালো হলে খুবই কম সময়ে খ্যাতির পাশাপাশি ভালো অতিরিক্ত আয় সুনিশ্চিত হবে। যত বেশি ভিউ আসবে, তত বেশি উপার্জন হবে।
৩. ব্লগিং
শব্দের জালে পাঠককে ফাঁসানোর দক্ষতা থাকলে ব্লগ (Blog) অতিরিক্ত আয়ের একটি বিকল্প হয়ে দাড়ায়। বিনামূল্যে ব্লগ অ্যাকাউন্ট খুলে বা কিছু টাকা খরচ করে নিজের ওয়েবসাইট বানিয়ে ব্লগিং শুরু করা যেতে পারে। ফেসবুক (Facebook) সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ব্লগের প্রোমোশন করা যায়। ভালো জ্ঞান এবং লেখায় নতুনত্ব থাকলে পাঠক নিজে নিজেই লেখার প্রতি আকৃষ্ট হবে। ব্লগের মাধ্যমে আয়ের সবচেয়ে ভালো উপায় হল লেখার মাঝে বিজ্ঞাপনের ব্যবহার।
আরও পড়ুন: চাকরি ছেড়ে শুরু করতে পারেন এই ব্যবসা, আয় করবেন ৯ লাখ টাকারও বেশি!
৪. অনলাইন মার্কেটিং
ব্যাপারটা আর কিছুই নয়- স্রেফ ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে নিজের পছন্দমতো কোনও পণ্য বিক্রি করা, সে যা খুশি হতে পারে- জামা, জুতো, প্রসাধনী, বই, খেলনা ইত্যাদি! এক্ষেত্রে দোকান দেওয়ার পয়সা গুনতে হবে না, ফলে একটা মোটা অঙ্কের বিনিয়োগের টাকা বেঁচে যায়। এর পর ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে একটা সেলার অ্যাকাউন্ট খুলে নিজের জিনিস ফিচার করা যায়। শুরুতে বিনিয়োগ অল্প করাই ভালো, বিক্রি না হলেও তাতে বড় একটা লোকসানের ভয় নেই।