খেঁজুর গাছ শিউলিদের কাছে ভাড়া দেয় মালিক। এর বিনিময়ে গাছের মালিক নেয় গুড়। গাছ পিছু দুই কেজি আড়াই কেজি পর্যন্ত গুড় নেয় তারা। কোনও টাকার লেনাদেনা সেভাবে হয় না। ফলে এখনও এখানে চলে বিনিময় প্রথা।
advertisement
বিনিময় প্রথার মতো এই আদি পরম্পরা বজায় আছে এখনও। আসলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর বিখ্যাত মোয়ার জন্য। এই মোয়াতে লাগে নলেন গুড়। আর এই গুড় আসে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে। শীতের শুরুতেই শিউলিরা বের হয়ে যান গাছের খোঁজে। মালিকের সঙ্গে কথা হয়ে শুরু হয় গাছ কাটা। কিন্তু বিনিময় হয় গুড়ের। সেই গুড় আবার পিঠের সঙ্গে খাওয়া থেকে শুরু করে অনেক কিছুর সঙ্গে খাওয়া হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এ নিয়ে স্বপন অধিকারী নামের এক শিউলি জানিয়েছেন, তিনি প্রায় ৪০০ খেঁজুর গাছ কাটছেন এবছর। প্রায় প্রত্যেক জন গুড় নেবেন বলেছেন। ফলে গুড় তৈরি করে তাদের একটা অংশ দিতে হয়। বাকিটা পাঠানো হয় জয়নগরে। এই কথার সঙ্গে একমত রুলামিন শেখ নামের এক শিউলি। তিনি নিজে ১০০ গাছ কাটছেন এবছর। ভোর থেকে কাজ শুরু হয়। চলে সকাল পর্যন্ত। এর মধ্যে তৈরি গুড় বাজারে বিক্রি হয়। গাছের মালিক কিন্তু গুড়ই চান বলে জানিয়েছেন তিনি। ফলে এই ব্যবসায়ে এখনও রয়ে গিয়েছে বিনিময় প্রথা।





