ব্যবসা শুরু করতে হলে চাই বড়সড় পুঁজি। এই ধারণা এখন বদলে গিয়েছে। সামান্য প্রচেষ্টা আর উপযুক্ত পরিকল্পনা থাকলেই আজ জমিয়ে ব্যবসা করা যায়। বিশেষ করে ছোট ব্যবসা। কলকাতা বরাবরই পর্যটকদের পছন্দের গন্তব্য। ইদানীং বাংলার স্থানীয় ও ঐতিহ্যবাহী পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। আর পর্যটকরা কারখানায় তৈরি পণ্যের চেয়ে স্থানীয় মানুষের হাতে তৈরি জিনিসই বেশি পছন্দ করেন। কলকাতা বিখ্যাত পর্যটন গন্তব্য হওয়ায় যে কোনও ব্যবসা-বৃদ্ধির সম্ভাবনাও অনেকটাই বেশি। এখানে কলকাতায় করা যায়, এমন সেরা ব্যবসায়িক আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করা হল।
advertisement
আরও পড়ুন: সোনা ও রুপোর কেনার আগে চেক করে নিন আজকের দাম
ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেল:
৩০০ বছরের প্রাচীন শহর কলকাতা। ব্রিটিশদের তৈরি স্থাপত্য। পুরনো জমিদার বাড়ি। দেশের প্রথম মিউজিয়াম, চিড়িয়াখানা এখানেই। প্রতি বছর দেশ-বিদেশের পর্যটকরা ঘুরতে আসেন। তাঁরা সাধারণত হোটেল রুম বুক করা থেকে ফ্লাইটের টিকিট কাটার জন্য ট্রাভেল এজেন্ট ভাড়া করে থাকেন। তাই কলকাতায় ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের ব্যবসা সবচেয়ে লাভজনক হতে পারে।
ব্রাইডাল শোরুম:
কথায় আছে না, বিগ ফ্যাট ইন্ডিয়ান ওয়েডিং। অর্থাৎ আমাদের দেশে বিয়ে মানেই জাঁকজমক। বাজি ফাটানো থেকে ব্যান্ড পার্টি ভাড়া - সে এক দেখার মতো ব্যাপার। শহর কলকাতায় বেশির ভাগই ধনী লোকের বাস। তাই ব্রাইডাল শো-রুম লাভজনক ব্যবসা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। বিয়ের ফ্যাশনে কোন ট্রেন্ড চলছে, সেরা পোশাক কী হতে পারে, এই বিষয়গুলো চর্চায় রাখতে হবে শুধু।
আরও পড়ুন: ফিক্সড ডিপোজিটের উপর সুদের হার বৃদ্ধি করল বন্ধন ব্যাঙ্ক
মিউজিক সেন্টার:
কলকাতার মানুষ সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক। সঙ্গীত এই শহরের প্রাণ। কিশোর কুমার থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, মান্না দে থেকে কুমার শানু সঙ্গীতের কিংবদন্তীরা বেড়ে উঠেছেন এই শহরে। এই শহরেই ডালপালা মেলেছে জীবনমুখী গান, ব্যান্ড কালচার। জন্ম হয়েছে কবীর সুমন থেকে নচিকেতাদের। সঙ্গীত এবং বাদ্যযন্ত্রের প্রতি প্রেম কলকাতাবাসীর রক্তে। তাই মিউজিক স্কুল থেকে এখানে ভাল ব্যবসা করা যেতে পারে। শিক্ষার্থীদের শেখানোর জন্য সঙ্গীতশিল্পী নিয়োগ করতে হবে। সেতার, সরোদ, এস্রাজ, বাঁশির মতো নানা প্রকার বাদ্যযন্ত্র শেখানোর জন্য শিক্ষক নিয়োগ করা যেতে পারে।
মিষ্টির দোকান:
পেটরোগা বলে বাঙালির দুর্নাম আছে ঠিকই। কিন্তু মিষ্টি দেখলে তাঁরা সব ভুলে যায়। এই শহরেই রসগোল্লার মতো মিষ্টির জন্ম দিয়েছেন নবীন চন্দ্র দাস। আর এটাই আজ বাঙালি পরিচয়ের ট্রেড মার্ক। নকুড় থেকে ভীম নাগ - বাঙালি চেটেপুটে খায়। এই শহরে তাই মিষ্টির দোকান খোলা মানে লাভ-ই লাভ। হ্যাঁ, প্রতিযোগিতা তো আছেই আর থাকবেও, ফলে প্রথমেই ব্র্যান্ড তৈরি করতে হবে। আর একটা বিষয় খুবই জরুরি। সেটা হল- ভাল স্বাদ। আসলে স্বাদে অতুলনীয় হলে বাঙালি আর অন্য কিছুর দিকে ফিরেও তাকাবে না।