ব্যাঙ্ক বা কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ নিতে গেলে ঋণদাতা কিছু শর্ত দেয়। কিংবা বলে, জামানত হিসেবে কিছু রাখতে হবে। এখান থেকেই সিকিওর্ড এবং আনসিকিওর্ড পার্সোনাল লোনের ধারণা আসে।
ঋণগ্রহীতা হিসেবে উপলব্ধ ঋণের বিকল্পগুলো জানা প্রয়োজন। এগুলো কীভাবে কাজ করে, একে অপরের থেকে কোথায় আলাদা – জানা থাকলে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন- এই স্কিমে মাত্র ১০০ টাকা দিয়ে বিনিয়োগ করুন, ম্যাচিউরিটিতে মিলবে বিশাল রিটার্ন
সিকিওর্ড পার্সোনাল লোন: সিকিওর্ড পার্সোনাল লোনের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের কাছে জামানত হিসেবে কোনও সম্পদ গচ্ছিত রাখতে হয়। ঋণ শোধ করলে তা ফেরত দেওয়া হয়। আর শোধ করতে না পারলে ব্যাঙ্ক সেই সম্পদের দখল নেয়। জামানত হিসেবে বাড়ির দলিল, সোনা, প্লট রাখা যেতে পারে।
আনসিকিওর্ড পার্সোনাল লোন: নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে, জামানত ছাড়াই এই ঋণ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে ঋণদাতা মাসিক আয়ের ভিত্তিতে ঋণ অনুমোদন করে। তবে আনসিকিওর্ড পার্সোনাল লোনে চড়া হারে সুদ দিতে হয়। ঋণগ্রহীতার আয় মূল্যায়নের পরেই ঋণের পরিমাণ ঠিক করে ব্যাঙ্ক।
সিকিওর্ড না কি আনসিকিওর্ড, কোনটা বেছে নেওয়া উচিত: সিকিওর্ড লোনের ক্ষেত্রে জামানত হিসেবে সম্পদ জমা রাখতে হয়। আনসিকিওর্ড লোনে সেই ঝামেলা নেই।
সিকিওর্ড লোন সাধারণত ১৫ থেকে ২০ বছরের মেয়াদে দেওয়া হয়। উল্টো দিকে, আনসিকিওর্ড লোনের মেয়াদ বড়জোড় ১ থেকে ২ বছর।
তবে সবচেয়ে বড় পার্থক্য হল সুদের হার। সিকিওর্ড লোনে সুদের হার কম। আনসিকিওর্ড লোনে চড়া হারে সুদ দিতে হয়।
আরও পড়ুন- দুর্গাপুজোর আগে পাতে পদ্মার টাটকা ইলিশ! রূপালী শস্যে উপচে পড়বে উৎসব! দাম কত হবে?
আনসিকিওর্ড লোনের তুলনায় সিকিওর্ড লোন পাওয়া সহজ।
বড়সড় বিনিয়োগের জন্য লোন নিতে চাইলে সিকিওর্ড লোনই লাভজনক বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। অন্য দিকে, কেনাকাটা বা জরুরি অবস্থার জন্য আনসিকিওর্ড লোন নেওয়া যায়।