আরও পড়ুন: ব্যাঙ্কে বড় অঙ্কের টাকা জমা থাকলে জেনে রাখুন এই নয়া নিয়ম, হতে পারে সমস্যা
উল্লেখ্য এপ্রিল মাস থেকেই লেন্ডিং রেট বাড়িয়ে চলেছে এসবিআই। মে মাসে রেপো রেট ৪০ বিসিএস পয়েন্ট বাড়ায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। ফলে সুদের বোঝা বাড়ে গ্রাহকদের ওপর। শুধু এসবিআই নয় সাম্প্রতিককালে ব্যাঙ্ক অফ বরোদা, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক লেন্ডিং রেট বাড়িয়েছে। আর্থিক বিশেষজ্ঞদের মতে ব্যাঙ্কগুলি মূল্যবৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণে রাখতেই লেন্ডিং রেট বাড়াচ্ছে। এসবিআই-এর ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা কার্যকরী হয়েছে ১৫ জুলাই থেকেই।
advertisement
আরও পড়ুন: ইপিএফ-এ জমা টাকার ২০ শতাংশ শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা হতে পারে
নতুন ব্যবস্থায়
- ছয় মাসের ক্ষেত্রে, যেখানে দিতে হত — ৭,৩৫ শতাংশ; এখন সেখানে দিতে হচ্ছে — ৭.৪৫ শতাংশ।
- এক বছরের ক্ষেত্রে, যেখানে দিতে হত — ৭,৪০ শতাংশ; এখন সেখানে দিতে হচ্ছে — ৭.৫০ শতাংশ।
- দুই বছরের ক্ষেত্রে, যেখানে দিতে হত — ৭,৬০ শতাংশ; এখন সেখানে দিতে হচ্ছে — ৭.৭০ শতাংশ।
- তিন বছরের ক্ষেত্রে, ৭.৭ শতাংশ বেড়ে হচ্ছে ৭.৮ শতাংশ।
অবশ্য আর্থিক মহল মনে করিয়ে দিচ্ছে এসবিআই-এর লেন্ডিং রেট এখনও বেসকারি ব্যাঙ্কের থেকে কম। যেমন ধরা যাক এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের কথা। এখানে পরিবর্ধিত লেন্ডিং রেটের ফলে গ্রাহককে ঋণের ক্ষেত্রে অনেকটাই বেশি সুদ গুণতে হয়।
আরও পড়ুন: মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার আগে যে ৫টি প্রশ্ন অবশ্যই করা উচিত, আপনিও জেনে নিন!
এইচডিএফসি লেন্ডিং রেট
- এক রাতের ক্ষেত্রে: পুরনো রেট — ৭.১৫ শতাংশ; নতুন রেট — ৭.৫০ শতাংশ প্রতিমাসে
- একমাসের ক্ষেত্রে, যেখানে দিতে হত — ৭,২০ শতাংশ; এখন সেখানে দিতে হচ্ছে — ৭.৫৫ শতাংশ।
- তিনমাসের ক্ষেত্রে, যেখানে দিতে হত — ৭,২৫ শতাংশ; এখন সেখানে দিতে হচ্ছে — ৭.৬০ শতাংশ।
- ছয় মাসের ক্ষেত্রে, যেখানে দিতে হত — ৭,৩৫ শতাংশ; এখন সেখানে দিতে হচ্ছে — ৭.৭০ শতাংশ।
- এক বছরের ক্ষেত্রে, যেখানে দিতে হত — ৭,৫০ শতাংশ; এখন সেখানে দিতে হচ্ছে — ৭.৮৫ শতাংশ।
- দুই বছরের ক্ষেত্রে, যেখানে দিতে হত — ৭,৬০ শতাংশ; এখন সেখানে দিতে হচ্ছে — ৭.৯৫ শতাংশ।
- তিন বছরের ক্ষেত্রে, যেখানে দিতে হত — ৭,৭০ শতাংশ; এখন সেখানে দিতে হচ্ছে — ৮.০৫ শতাংশ।
উল্লেখ্য বেসিস পয়েন্ট মানে এক শতাংশের ১০০ ভাগের এক ভাগ। অন্যভাবে বললে ১০০ বেসিস পয়েন্ট মানে ১ শতাংশ। অর্থাৎ এসবিআই গ্রাহকদের ক্ষেত্রে লোন ইএমআই-এর পরিমাণ .১০ বাড়তে পারে শতাংশ।
আরও পড়ুন: আজ থেকে দাম বাড়তে চলেছে দুধ, দই, লস্যির, লাগু হচ্ছে ৫% জিএসটি
উল্লেখ্য অর্থনীতি নিয়ে মাথাব্যথার আরও কারণ রয়েছে। সোমবারই একসময় ডলার ৮০ টাকায় পৌছেছে। অর্থমন্ত্রকের দাবি অশোধিত তেলের চড়া দাম,রুশ ইউক্রেন যুদ্ধই এর কারণ। এছাড়া ক্রমাগত ভারতীয় বাজার থেকে পুঁজি সরিয়েছে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি। ঘটনার নির্যাস, একদিকে ঋণের বোঝা বাড়ছে অন্য দিকে টাকার পতনের ফলে পেট্রল ডিজেল মহার্ঘ্য হওয়ার সম্ভাবনা। মনে করা হচ্ছে বাদল অধিবেশনে বিরোধিরা সুর চড়াবে।