আবার ১৪টি ব্রোকারেজের উপর সমীক্ষা চালিয়েছিল ব্লুমবার্গ। তাতে ১০টি ব্রোকারেজের দেওয়া গড় হিসেব অনুযায়ী, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের কনসলিডেটেড নেট প্রফিটে ইয়ার-অন-ইয়ার ভিত্তিতে প্রায় ১০% পতন দেখা দিতে পারে। এর ফলে তা এসে দাঁড়াতে পারে ১৬৯৯৫ কোটি টাকায়। কনসলিডেটেড রেভেনিউও ইয়ার-অন-ইয়ার ভিত্তিতে ২% পতন হয়ে ২.১৫ লক্ষ কোটি টাকায় দেখা যাচ্ছে। ২১ জুলাই, ২০২৩ তারিখে জুন ত্রৈমাসিকের আয়ের রিপোর্ট জমা দেবে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ।
advertisement
আরও পড়ুন– চাকরির জন্য নিরামিষাশী প্রার্থী চাই! বিজ্ঞাপন দিয়ে সমালোচনার মুখে এই কর্পোরেট সংস্থা
বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে এমকে রিসার্চ জানিয়েছে যে, ইবিআইটিডিএ সামান্য বাড়তে পারে। কোয়ার্টার-অন-কোয়ার্টার ভিত্তিতে ১% বেড়ে তা ৩৮৮০০ কোটি টাকায় এসে ঠেকতে পারে। তবে ইয়ার-অন-ইয়ার ভিত্তিতে ইবিআইটিডিএ-র ৪% পতন হয়ে দাঁড়াতে পারে ১৫৬০০ কোটি টাকায়। জিও-র সঙ্গে যুক্ত হতে পারে ৬.৫ মিলিয়ন নেট সাবস্ক্রাইবার। এমনটাই আশা এমকে রিসার্চের। আবার রিটেল ইবিআইটিডিএ কোয়ার্টার-অন-কোয়ার্টার ভিত্তিতে ২% বেড়ে হতে পারে ৫০০০ কোটি টাকা। তবে আপস্ট্রিম ইবিআইটিডিএ-এর ক্ষেত্রে তেমন একটা তারতম্য থাকবে না।
আরও পড়ুন– বিমানের মধ্যেই বিজনেস টাইকুনের হাতে ধরানো হল চিরকুট; কী লেখা ছিল তাতে?
ফলাফল প্রকাশের ঠিক আগেই শেয়ার বাজারে গত ১৯ জুন, ২০২৩ তারিখে মুকেশ আম্বানির এই সংস্থা বিএসই-তে শেয়ার প্রতি ২৮৫৫ টাকায় ৫২-সপ্তাহের শীর্ষে পৌঁছেছিল। ২০ জুলাই ক্লোজিংয়ের সময় দেখা গিয়েছিল যে, শেয়ারগুলি ২৬১৯.৮০ টাকায় স্থির হয়েছে। যেটা আগের দিনের ক্লোজিংয়ের তুলনায় ১.২ শতাংশ উর্ধ্বে ছিল।
রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড আলাদা ভাবে গ্রস রিফাইনিং মার্জিন (জিআরএম) পেশ করে না। বিশ্লেষকদের আশা, ওই সংস্থা জুন ত্রৈমাসিকে ব্যারেল প্রতি ১১ ডলার জিআরএম অর্জন করতে পারত। আসলে এই সংস্থাকে বেঞ্চমার্ক সিঙ্গাপুর জিআরএম-এর পতনশীল প্রবণতা অনুসরণ করতে দেখা গিয়েছে।