ফিউচার গোষ্ঠী, যারা প্যান্টালুন্স ও বিগ বাজারের মতো ব্র্যান্ডের হাত ধরে ভারতের খুচরো বিপণি মানচিত্রে পা রেখেছিল। এবার রিলায়েন্সের শাখা রিলায়েন্স রিটেল ভেঞ্চার্সের নতুন পথ চলায় অনেকেই অনুমান করছেন, ব্যবসা বৃদ্ধিতে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত সুফলদায়ী হবে।
প্রসঙ্গত, রবিবার ফিউচার রিটেলের (Future Retail) অধিকাংশ অনলাইন ও অফলাইন পরিষেবা বন্ধ ছিল। সূত্রের খবর, অর্থ সংকটের কারণে ফিউচার গ্রুপ (Future Group) তাঁর লিজের অর্থ মেটাতে পারেনি। তাই ফিউচার গ্রুপের যে বিভিন্ন দোকানগুলো রয়েছে, সেগুলি চালাতে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছিল। এই দোকানগুলোর নয়া নামকরণও করবে রিল্যায়েন্স । মোট ২৪,৭১৩ কোটি টাকার বিনিময়ে ফিউচার গ্রুপ-এর খুচরো ও পাইকারি ব্যবসা এবং লজিস্টিক্স ও ওয়্যারহাউজিং ব্যবসা কিনে নিয়েছিল মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রি।
advertisement
প্রসঙ্গত, ফিউচারের মোট বিপণির সংখ্যা ১৭০০-এর বেশি। তবে বিগবাজারের নামে যে ২০০ টি বিপণি রয়েছে সেগুলো রিল্যায়েন্স গ্রুপ তার নিজের নামে নামকরণ করবে। ইতিমধ্যেই এই সব স্টোরগুলির ৩০ হাজার কর্মীকে কাজ চালিয়ে যেতেও বলেছে রিলায়েন্স। অর্থাৎ, কর্মীদের চাকরির প্রতি যে বিশেষ নজর রাখছে রিলায়েন্স, তা স্পষ্ট। এই ক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত সকলেই এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। বরং রিলায়েন্সের অধীনে কর্মীদের চাকরি আরও সুরক্ষিত থাকবে বলেও মনে করছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: বাজারে এল ‘ইজি ডাইজেস্ট মিল্ক’, ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স কমাতে অপরিহার্য এই দুধ !
Easy Day Mart-এর প্রাক্তন কর্ণধার পঙ্কজ বনশন বলেন, ''এটা খুব দুঃখজনক যে আপনি কাজ করেও বেতন পাবেন না। আগে কর্মচারীরা ভাগে ভাগে বেতন পাচ্ছিলেন। তাঁদের সমস্যা হচ্ছিল। রিলায়েন্সের মতো শক্তিশালী গ্রুপ এখন দায়িত্ব নেওয়ায় কর্মচারীরা এবার সময়ে বেতন পাবেন। বেতন নিয়ে আশা করি আর কোন সমস্যা হবে না। দু বছর ধরে ভাড়া পর্যন্ত আমরা পেতাম না। কোভিডের সময় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছিল। কিন্তু এবার রিলায়েন্স দায়িত্ব নেওয়ায় আমরা নিশ্চিন্ত। আমরা খুশি, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গ্রুপের সঙ্গে কাজ করব।''
একইভাবে ভেন্ডর ও সাপ্লায়াররাও এই পদক্ষেপে বেজায় খুশি। Ambesten Marketing Solutions-এর ম্যানেজিং পার্টনার শামি ঠাকুরও বলেন, ''কর্মচারী সহ রিটেল সেক্টরের জন্য এই পদক্ষেপ খুবই উপযোগী হয়ে উঠবে। নতুন সুযোগ তৈরি হবে। পেমেন্ট নিয়ে সমস্যা মিটবে। কঠিন সমস্যা ছিল। এখন অনেক পেমেন্ট বাকি, যা সাত বছর ধরে বাকি। রিলায়েন্স বড় প্লেয়ার এই ইন্ডাস্ট্রিতে। তাঁদের আগমনেই টাকা উঠে আসবে।''
Sai Shakti Infrastructure এবং হায়দরাবাদের হেরিটেজ স্টোরের ভেন্ডর ডঃ NPVS রাজু বলেন, 'ফিউচার গ্রুপ আমাদের স্টোরের দায়িত্ব নেওয়া পর থেকেই ভোগান্তি শুরু হয়। ২০১১ সালে এটি শুরু হয়েছিল আমাদের এলাকায় প্রথম। সাত বছর পর ফিউচার গ্রুপ হেরিজেটের থেকে তা নিয়ে নেয়। সেই থেকে আমরা অনিশ্চিত পেমেন্ট নিয়ে ভুগছি। স্টোরগুলির রক্ষণাবেক্ষণও করা হয়নি। বিক্রি ক্রমশ কমেছে, কর্মীও কমেছে। বিদ্যুতের বিলও ঠিক সময়ে দিত না। ফলে বিদ্যুৎ নিয়েও সমস্যা হত।'