জিও মানেই যেন, পকেট খসবে না, কিন্তু অফুরন্ত পরিষেবা৷ মোবাইল থেকে শুরু করে ব্রডব্যান্ড৷ অক্সিজেন অফ ডিজিটাল লাইফ৷ দেখতে দেখতে ২ বছর তো ঘুরল, কেমন কাটল জিও ও ভারতবাসীর বন্ধুত্ব? জার্নিটায় একটু ফিরে দেখা যাক৷
আরও পড়ুন: আয়ের বিচারে ভোডাফোনকে টপকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম সংস্থা জিও
বিশ্বের বৃহত্তম IP নেটওয়ার্ক: বিশ্বের বৃহত্তম IP নেটওয়ার্কের সৌজন্যে দেশের প্রতিটি কোণায় পৌঁছে গিয়েছে নেটওয়ার্ক৷ বিপুল বিস্তৃত LTE কভারেজ, জিও ছাড়া ভারতের আর কোনও টেলিকম সংস্থার নেই৷ ভারতের মোট জনসংখ্যার ৯৯ শতাংশের কাছেই জিও খুব শীঘ্র পৌঁছে যাবে৷ গত ২৫ বছরে ২জি কভারেজের চেয়ে বেশি ৪জি কভারেজ হয়েছে জিও-র সৌজন্যে৷
advertisement
আরও পড়ুন: জিও গ্রাহকদের জন্য সুখবর, বিনামূল্যে পরিষেবা মিলবে দু’মাস
ফ্রি ভয়েস কল একসময় স্বপ্ন ছিল ভারতবাসীর৷ বাস্তব করেছে জিও৷ সব প্ল্যানেই যত ইচ্ছে কথা বলুন৷ সঙ্গে একগুচ্ছে ডেটা৷ যার জেরে, ভারতবাসী একসময় মাসে গড়ে ২০ কোটি জিবি ডেটা ব্যবহার করত, জিও আসায় তা বেড়ে হয়েছে ৩৭০ কোটি জিবি৷ এর মধ্যে ২৪০ কোটি জিবি শুধু জিও-রই৷
প্রতিদিন বাড়ছে গ্রাহক সংখ্যা৷ বিশ্বের কোনও প্রযুক্তি সংস্থার গ্রাহক এত দ্রুত হারে বাড়েনি৷ প্রতি সেকেন্ডে ৭ জন করে গ্রাহক বাড়ে জিও-তে৷ যার নির্যাস, লঞ্চ করার ১৭০ দিনের মধ্যেই ১০ কোটি গ্রাহক হয়ে যায় Jio-র৷
সস্তায় প্রচুর ডেটা: বছর ২ আগেও যখন জিবি পরিমাণ ডেটা সব নেটওয়ার্ক থেকে কিনতে ২৫০ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত একমাসে লেগে যেত, জিও প্রথমবার মাত্র ১৫ টাকারও কমে ১ জিবি ডেটা দেওয়া শুরু করে৷ যাঁরা জিও গ্রাহক, তাঁরা জানেন, কতটা সস্তা৷
TRAI-এর স্পিড টেস্ট পোর্টাল বলছে, ৪জি নেটওয়ার্ক কভারেজে Jio-র আশপাশে কেউ নেই৷ প্রতি মাসেই ডেটা স্পিড ও কভারেজে এক নম্বরে৷
ট্যারিফ স্পেসিফিকেশন: Jio আসার আগে ভারতে বিভিন্ন মোবাইল নেটওয়ার্কের মোট ২২ হাজার প্ল্যান ছিল৷ Jio আসার পরে টেক্কা দিতে বিভিন্ন রকমের প্ল্যান আনতে শুরু করে দেয় মোবাইল নেটওয়ার্ক সংস্থাগুলি৷ কিন্তু মানুষকে বিভ্রান্ত করে না জিও৷ তাই কয়েকটি নির্দিষ্ট ও সহজ প্ল্যানই রাখা হয়েছে৷
ডিজিটাল ইকোসিস্টেমের বৃদ্ধি: জিও আসার পরে, ফেসবুক, ইউটিউব-সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের ব্যবহারকারী হুড়হুড় করে বাড়তে থাকে ভারতে৷ বর্তমানে গুগল ও ফেসবুক-এর সবচেয়ে অ্যাক্টিভ মার্কেট ভারত৷
ডিভাইস ইকোসিস্টেম বৃদ্ধি: রিলায়েন্স রিটেল-এর V
oLTE ডিভাইস LYF লঞ্চ করার পর থেকেই, বাকি ব্র্যান্ডগুলি LTE ফোন তৈরিতেই বেশি ফোকাস করতে শুরু করে৷ JioFi বাজারে আসার পর থেকে একাধিক ডিভাইসে ডিজিটাল লাইফ উপভোগ করছেন ভারতের মানুষ৷ এমনকী পুরনো 2G/3G মোবাইলেও VoLTE কল-এর সুবিধা পাচ্ছেন সবাই৷
Jio ফোন: ফিচার ফোন ব্যবহারকারীরা এখন স্মার্টফোনের সুবিধা পাচ্ছেন JioPhone আসায়৷ ২০১৮ সালের ৩০ জুনের মধ্যে জিও ফোনের বিক্রির সংখ্যা ২.৫ কোটি, যা খুব শীঘ্রই ১০ কোটি ছোঁবে৷ মাত্র ৫০১ টাকায় পুরোন ফিচার ফোনের বদলে জিও ফোনের সুবিধা৷ ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছেন৷
গত ২ বছরে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ অধিগ্রহম করেছে মিউজিক পোর্টাল Saavn, Eros ও ALT Balaji, শীতকালীন অলিম্পিক, নিদাহাস ট্রফির ডিজিটাল স্বত্ত্বও ছিল জিও-র৷ শিক্ষাতেও Embibe-র মতো শিক্ষার অ্যাপ-এর বেশির ভাগই অধিগ্রহণ করেছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ৷ ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি, ব্যাঙ্কিং ও ৮ থেকে দশম শ্রেণি পরীক্ষায় পড়ুয়াদের সাহায্য করে Embibe অ্যাপটি৷ জিও-র নিজস্ব অ্যাপ, MyJio ও Jio TV-র ডাউনলোডও রোজ বাড়ছে৷
জিও-র লক্ষ্য, ব্রডব্যান্ডে কানেক্টিভিটিতে ভারতকে বিশ্বের প্রথম ৫ দেশের মধ্যে তুলে ধরা৷ জিও পারবেই৷ ভারত ডিজিটাল হচ্ছে৷
আরও ভিডিয়ো: প্রজাতন্ত্র দিবসে জিও-র দুর্দান্ত অফার