প্রতিদিন নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে এই ক্ষেত্রেও। প্রযুক্তির স্নেহধন্য সেও। ফলত দেশের কৃষকরা এখন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঐতিহ্যবাহী চাষাবাদের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের নতুন ফসল ফলাতে সফল হয়েছে। হাইব্রিড বীজ প্রস্তুত করে উৎপাদন করা হচ্ছে নতুন প্রজাতির ফসল। আর সেটার চাহিদা বাজারে ভাল হওয়ার জন্য এমন ফসলের প্রতি ঝোঁক বেড়েছে কৃষকদের।
advertisement
আরও পড়ুন- বিনিয়োগকারীদের কোটিপতি করেছে, অ্যাস্ট্রাল পাইপ শেয়ার বাজারেও ভরসার নাম!
বাড়তে শুরু করেছে লাল ভিন্ডি চাষের প্রবণতা
সবুজ রঙের ভিন্ডি তো সচরাচর বাজারে দেখাই যায়। তার জনপ্রিয়তাও আকাশছোঁয়া। কিন্তু পরিবর্তন কে না চায়। প্রযুক্তির কল্যাণে দেশের কৃষকরাও এখন চাষ করছেন লাল ভিন্ডি। বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে লাল ভিন্ডি (Red Ladyfinger) সবুজ ভিন্ডির থেকে বেশি উপকারী। চাহিদা জোগানের অর্থনীতিতে তাই বাজারে লাল ভিন্ডির দাম সবুজ ভিন্ডির থেকে অনেক বেশি।
ফসল ফলতে লাগে ৪৫ থেকে ৫০ দিন
উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে অবস্থিত ভারতীয় সবজি গবেষণা কেন্দ্রই প্রথম লাল ভিন্ডি তৈরি করেছিল, তাই লাল ভিন্ডিকে কাশীর লালও বলা হয়। তবে এখন অন্যান্য জায়গায়ও এর বীজ পাওয়া যাচ্ছে। বীজ রোপণের পর থেকে ৪৫ থেকে ৫০ দিনের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যায় এই সবজি। উত্তরপ্রদেশের পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, হরিয়ানা ও দিল্লিতে শুরু হয়েছে এর চাষ।
একই জমিতে বছরে ফলতে পারবে দুইবার
লাল ভিন্ডির চাষ সবুজ ভিন্ডির এর মতই। বেলে বা দোআঁশ মাটি চাষের জন্য সবথেকে ভাল। মাটির pH ৬.৫ থেকে ৭.৫ এর মধ্যে হওয়া উচিত। একই জমিতে বছরে দুইবার লাল ভিন্ডি ফলানো যেতে পারে। এক একরে ২০ কুইন্টাল পর্যন্ত ফলন হতে পারে। এক একটি লাল ভিন্ডির দৈর্ঘ্য ৬-৭ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। ফেব্রুয়ারি-মার্চ এবং জুন-জুলাই মাসে রোপণ করা এর আদর্শ সময়। দিনে কম করে ৫-৬ ঘন্টা সূর্যালোক ফসলের জন্য দরকার।
আরও পড়ুন- এই দুই সংস্থায় বিনিয়োগ করেছেন! আপনিও হতে পারেন ধন কুবের
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে উপকারী
লাল ভিন্ডিতে অ্যান্থোসিন পাওয়া যায়। এতে ফাইবার ও আয়রন বেশি থাকে। এটি কেবল শরীরে শক্তি দেয় না, এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সহায়ক। লাল রঙের কারণে এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। রান্না ছাড়াও বিজ্ঞানীরা লাল ভিন্ডিকে স্যালাড হিসেবে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
কতটা উপকারী লাল ভিন্ডির চাষ
ফসলের দামের দিক থেকে লাল ভিন্ডির দাম সবুজ ভিন্ডির থেকে অনেক বেশি। সবুজ ভিন্ডি যেখানে প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকায় পাওয়া যায় , সেখানে লাল ভিন্ডির দাম ঘোরাফেরা করে ৫০০ টাকার কাছাকাছি। কখনও কখনও এর দাম ৮০০ টাকাও হয়ে যায়।
