এমন অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, নাগরিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে আর তা ব্যবহার করেন না। এমনকী, এই ধরনের ঘটনা ঘটে ফিক্সড ডিপোজিটের ক্ষেত্রেও।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)-র তরফে ১০০ দিনের প্রচার শুরু হতে চলেছে। RBI দেশের প্রতিটি জেলার প্রতিটি ব্যাঙ্ককে নির্দেশ দিয়েছে ১০০ দিনের মধ্যে এই রকম প্রথম ১০০টি অ্যাকাউন্ট খুঁজে বের করে তা নিষ্পত্তি করতে। এই কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ১ জুন থেকে। এই ধরনের দাবিবিহীন টার্ম ডিপোজিটগুলিকে ব্যাঙ্ক ‘দাবিহীন আমানত’ হিসাবে চিহ্নিত করবে। সেক্ষেত্রে দেখা হবে কোন কোন সেভিংস, কারেন্ট অ্যাকাউন্ট গত ১০ বছর ব্যবহার হয়নি বা কোন ফিক্সড ডিপোজিট মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার ১০ বছর পরও দাবি করা হয়নি।
advertisement
এই সব টাকার কী হবে—
এই ধরনের দাবিহীন অ্যাকাউন্টের মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করবে ব্যাঙ্কগুলি। কিন্তু যদি না পাওয়া যায় তবে এই সব টাকা RBI পরিচালিত ‘ডিপোজিটর এডুকেশন অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস’ ফান্ডে দিয়ে দেওয়া হবে।
জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় দাবিহীন আমানতের পরিমাণ কমাতে এবং সঠিক মালিক বা দাবিদারের কাছে এই টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য RBI-এর এই কৌশল নিয়েছে ৷ সম্প্রতি RBI একটি ওয়েব পোর্টাল তৈরি করেছে এই উদ্দেশ্যে।
জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে, ১০ বছর বা তার বেশি সময়ের ধরে কোনও রকম লেনদেন না হওয়া প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা দাবিবিহীন আমানত হিসেবে RBI-এর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কগুলি। প্রায় ১০.২৪ কোটি অ্যাকাউন্ট থেকে এই টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। সারা দেশের মধ্যে সর্বাধিক দাবিহীন অর্থ ছিল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে। পরিমাণটা ৮,০৮৬ কোটি টাকা। এরপরে রয়েছে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, এদের কাছে রয়েছে ৫,৩৪০ কোটি টাকা। তৃতীয় স্থানে রয়েছে কানাড়া ব্যাঙ্ক ৪,৫৫৮ কোটি। ব্যাঙ্ক অফ বরোদার কাছে রয়েছে ৩,৯০৪ কোটি টাকা।