Jasmine Dhunna-Veerana: সিনেমহল তাঁর অনুপস্থিতিতে 'ভিরানা', রুপোলি পর্দা থেকে একেবারেই কি হাওয়া হয়ে গেলেন সাহসিনী জ্যাসমিন?

"নায়ক যদি আমায় উত্তেজিত করে তুলতে পারে, তাহলে তাকে চুমু খাব। রাজ কাপুরের মতো পরিচালক যদি পাই, ক্যামেরার সামনে নগ্ন হতেও আপত্তি নেই"! ১৯৮৭ সালে এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেছিলেন জ্যাসমিন ধুন্না।

সাহসিনী এই সুন্দরীর কথা লুফে নিতে দেরি করেননি বুদ্ধিমান রামসে পরিচালক ভাইয়েরা, 'বিরানা' ছবিতে লাস্যময়ী অবতারে তাঁরা তুলে ধরেছিলেন জ্যাসমিন ফুলের মতো শ্বেতশুভ্র নায়িকার যৌবন। যার কোনও এক পরতে লুকিয়ে ছিল নিদারুণ ভয়ের ছায়াও, পর্দায় যখন সুন্দরী ধারণ করতেন প্রেতিনীর রূপ, শিউরে উঠতেন দর্শকেরা।

অর্থাৎ, অভিনয় দক্ষতাও ছিল ভরপুর, শুধুই যৌন আবেনে বলিউডের বাজার মাতাননি জ্যাসমিন। বিনোদ খান্নার বিপরীতে ১৯৭৯ সালে তাঁর প্রথম ছবি 'সরকারি মেহমান' যদিও দর্শকদের মুগ্ধ করতে পারেনি। তবে 'বিরানা' মুক্তির পরে খেলা ঘুরে গেলেও বোর্ড উল্টে দিলেন নায়িকা নিজেই, তাঁকে আর কোনও দিন কোনও ছবিতেই দেখা গেল না।

ব্যাপারটা কী? আতসবাজি হয়ে আলো ছড়িয়েই কেন আঁধারে মিলিয়ে গেলেন জ্যাসমিন? সঠিক জানা যায় না।

সম্ভাব্য এক কারণ অবশ্য ওই আঁধারের দিকেই খুব সঙ্কুচিত ভাবে আঙুল তোলে। বলে অন্ধকার জগতের বেতাজ বাদশা দাউদ ইব্রাহিমের কথা। জ্যাসমিন পড়েছিলেন তাঁর নজরে। মুম্বই পুলিশেও দাউদের অনুরাগী কম নয়, ফলে অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা হয়নি। বাকিটা কেবলই আরও গভীর জল্পনা।

যদিও সে সব জল্পনা এক ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছিলেন ২০১৭ সালের এক সাক্ষাৎকারে পরিচালক শ্যাম রামসে। জানিয়েছিলেন- জ্যাসমিন মুম্বইতেই আছেন। মায়ের আকস্মিক মৃত্যু তাঁকে এতটাই ভেঙে দেয় যে গ্ল্যামারের আলো গায়ে মাখার ইচ্ছা তাঁর চলে যায়।

শ্যাম বলেছিলেন যে তাঁর 'ভিরানা'র রিমেক করার ইচ্ছা আছে, সব ঠিক থাকলে জ্যাসমিনকে আবার তিনি পর্দায় ফিরিয়ে আনবেনই! ২০১৯ সালে পরিচালকের মৃত্যুর পর জ্যাসমিন এখন কেবলই ছায়াছবির পর্দায় মিশে থাকা অতীত সুগন্ধী!