মুদ্রাস্ফীতির কারণে এর আগে পর পর তিন বার রেপো রেট বাড়িয়েছেন আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। তাই এ-বারের তিন দিন ব্যাপী অর্থাৎ ৫ ডিসেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলা মুদ্রানীতি বৈঠকে আদৌ রেপো রেট বাড়বে কি না, তা নিয়েই শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। তবে এই সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে বুধবার অর্থাৎ ৭ ডিসেম্বর। কারণ মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠকে যা যা সিদ্ধান্ত গৃহীত হচ্ছে, তা ঘোষণা করা হবে ওই দিনই।
advertisement
আরও পড়ুনঃ এবার এটিএম থেকে বেরোবে সোনা, দেখে নিন কোথায় খুলল দেশের প্রথম গোল্ড এটিএম
তবে অর্থনীতিবিদদের মতে, সুদের হার সামান্য হলেও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে ওই বৈঠকে। তবে সুদের এই হার বৃদ্ধির বিষয়ে এ বার নরম অবস্থান নিতে পারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ ইতিমধ্যেই মুদ্রাস্ফীতির হার কমেছে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামও কমছে। প্রসঙ্গত, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক পাঁচ মাসের মধ্যেই রেপো রেট জোরালো ভাবে বাড়িয়েছিল। আসলে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে চলতি বছরের মে মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে চার বার রেপো রেট বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।
আরবিআই বৈঠকে কী হবে?
আরবিআই বৈঠকে কী কী সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে, তা নিয়ে ইঙ্গিতও মিলেছে। রেটিং এজেন্সি ক্রিসিল (CRISIL)-এর অনুমান, সুদের হার ০.২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। আবার ইন্ডিয়া রেটিংসও একই ইঙ্গিত দিয়েছে। অর্থাৎ তারাও জানিয়েছে যে, সুদের হার বাড়তে পারে ০.২৫ শতাংশ। কিন্তু আইসিআরএ (ICRA) আবার সুদের হার ০.৩৫ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে। অন্য দিকে, এসবিআই (SBI) এবং এইচডিএফসি (HDFC) ব্যাঙ্কেরও অনুমান, সুদের হার ০.৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে।
মুদ্রানীতি কমিটি বা এমপিসি কী?
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বা আরবিআইয়ের মুদ্রানীতি কমিটি (মানিটরি পলিসি কমিটি) আসলে সুদের হার সংক্রান্ত বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের কাছে সুপারিশ পেশ করে। আরবিআই আইন অনুযায়ী, মুদ্রানীতি কমিটি (এমপিসি)-র জন্য বছরে চারটি বৈঠক করা বাধ্যতামূলক। এ ছাড়াও, আরবিআই-কে অর্থবর্ষ শুরুর হওয়ার আগেই এই বৈঠকের সম্পর্কিত একটি ক্যালেন্ডার জারি করতে হয়।