এরপরই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য ভারতের প্রয়োজন প্রকৃত জিডিপি-র বার্ষিক বৃদ্ধির হার ২০২৩-২৪ থেকে ২০৪৭-৪৮ পর্যন্ত টানা ৭.৬ শতাংশ হারে রেখে যাওয়া। এখানেই শেষ নয়, ২০৪৭ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশ হতে চাইলে ভারতের মাথাপিছু জিডিপি ১০.৬ (৯.১) শতাংশ হারে সিএজিআর-এ রেকর্ড করতে হবে। এই কাজ অসম্ভব নয়। অতীতে টানা ২৫ বছর ভারতের মাথাপিছু জিডিপি ৮.১ শতাংশ ছিল, ১৯৯৩-৯৪ থেকে ২০১৭-১৮ পর্যন্ত। হ্যাঁ, এটা বলা যেতেই পারে, ৯.১ শতাংশ হারে মাথাপিছু জিডিপি অর্জন করতে হলে ভারতকে অবশ্যই পূর্ববর্তী রেকর্ড ছাপিয়ে যেতে হবে। শিল্পখাতকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক কাঠামোর ভারসাম্য বজায় এবং ব্যাপক হারে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে। তৈরি করতে হবে বৃহত্তর শিল্পখাত। অর্থাৎ ভারত যেন ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার ক্রমবর্ধমান চাহিদা অভ্যন্তরীণভাবে মেটাতে সক্ষম হয়।
advertisement
আরও পড়ুন-হাজার হাজার টাকা ইলেকট্রিক বিল, মেটাতে গিয়ে হিমশিম অবস্থা স্কুল কর্তৃপক্ষের, কারণটা কী?
আরও পড়ুন-ব্যালট পেপার উদ্ধার হতেই চক্ষু চড়কগাছ, হাতেনাতে ধরা পড়তেই তুমুল শোরগোল
রফতানিতে ভারত তুলনামূলকভাবে ভাল জায়গায় রয়েছে। আগামী ২৫ বছর পণ্য ও পরিষেবা রফতানিতে ১৩.৩ শতাংশের বৃদ্ধি বজায় রাখতে পারলে জিডিপিতে তার অংশ ২২.৮ শতাংশ থেকে ২০৪৭-৪৮ সালের মধ্যে ৩০.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। দেশকে ২৫ বছর টানা বৃদ্ধির পথে রাখতে উন্নয়ন কৌশল প্রয়োজন। যা কাঠামোগত পরিবর্তন সহ টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাথাপিছু উচ্চ উপার্জনের পাশাপাশি সর্বাত্মক উন্নয়ন সাধনের জন্য প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহারও জরুরি।