রেপো রেট কমানোর অর্থ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে সুদের হারে ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দেয়, সেই সুদের হার কমে ৬.২৫ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশ হল৷ ফলে, ব্যাঙ্কগুলিও পাল্টা গ্রাহকদের সুদের হার কমার সুবিধে দেয়৷
একনজরে দেখে নেওয়া যাক, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট কমানোর ফলে সুদের হার কতটা কমতে পারে৷
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের ঘোষণায় শেয়ার বাজারে বিপর্যয়, দশ সেকেন্ডে বিনিয়োগকারীরা খোয়ালেন ২০ হাজার কোটি
advertisement
উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক, কোনও ব্যক্তি এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক থেকে ৩০ বছরের জন্য ৮.৭ শতাংশ সুদের হারে ৫০ লক্ষ টাকা গৃহ ঋণ নিয়েছেন৷ এতদিন তাঁর ইএমআই ছিল ৩৯,১৫৭ টাকা৷ রেপো রেট কমার ফলে যদি সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমে ৮.৪৫ শতাংশে দাঁড়ায় সেক্ষেত্রে ইএমআই কমে হবে ৩৮,২৬৯ টাকা৷ এর ফলে ঋণগ্রহীতার মাসে ৮৮৮ টাকা করে বাঁচবে৷
যদি সুদের হার ৫০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ৮.২০ শতাংশে দাঁড়ায় তাহলে ইএমআই দাঁড়াবে ৩৭৩৮৮ টাকা৷ এর ফলে প্রতি মাসে ঋণগ্রহীতার ১৭৬৯ টাকা করে সাশ্রয় হবে৷
অর্থাৎ যদি সুদের হার মাত্র ০.৫ বেসিস পয়েন্ট কমে তাহলেই উপরে দেওয়া হিসেব অনুযায়ী বছরে ২১ হাজার টাকার বেশি সাশ্রয় করা সম্ভব৷ যাঁরা ২০ অথা ৩০ বছরের দীর্ঘমেয়াদী ঋণ নিয়েছেন, তাঁদের কাছে এই অঙ্কটা বিরাট৷
তবে এটি নিছকই একটি উদাহরণ৷ রেপো রেট কমার সুবিধে গ্রাহকরা কতটা পাবেন, তা অনেকটাই নির্ভর করে ব্যাঙ্কগুলির ইএমআই-এ সুদের হার কতটা কমাবে সেই সিদ্ধান্তের উপরে৷
কারও যদি ৫ বছরের জন্য ১২ শতাংশ সুদের হারে ৫ লক্ষ টাকার পার্সোনাল লোন চলে, তাহলে ০.২৫ শতাংশ সুদের হার কমলে ইএমআই ১১২৮২ টাকা থেকে কমে দাঁড়াবে ১১,১৪৯ টাকা৷ অর্থাৎ, প্রতি মাসে ১৩৩ টাকা করে সাশ্রয় হবে৷
যাঁদের ইতিমধ্যেই লোন চলছে, তাঁদের ঋণ যদি ফ্লোটিং ইন্টারেস্টে রেটে নেওয়া থাকে সেক্ষেত্রে তাঁরা রেপো রেট কমার সুবিধে পাবেন৷ কিন্তু যদি ফিক্সড ইন্টারেস্ট রেটে ঋণ নেওয়া থাকে, তাহলে রেপো রেট কমলেও ইএমআই অপরিবর্তিত থাকবে৷