রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নতুন এই ব্যবস্থার মাধ্যমে কার্ড টোকেনাইজেশনের দ্বারা গ্রাহকদের কার্ডের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সেভ করতে পারবে না কোনও সংস্থা। অর্থাৎ কার্ড টোকেনাইজেশনের মাধ্যমে মোবাইল অ্যাপ, পেমেন্ট ইত্যাদির ক্ষেত্রে ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ডের সিভিভি কোড এবং এক্সপায়ারি ডেট সেভ করতে পারবে না তারা। গ্রাহকদের কার্ডের ডেটা বিভিন্ন ভাবে চুরি করা হত। কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নতুন এই কার্ড টোকেনাইজেশন পদ্ধতির মাধ্যমে এখন থেকে সেটি আর করা যাবে না। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এই কার্ড টোকেনাইজেশনে পদ্ধতির বিভিন্ন সুবিধা।
advertisement
আরও পড়ুন: রাজ্যের বিরুদ্ধে বিরাট অভিযোগ শুভেন্দুর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে সিবিআই তদন্তের আর্জি
টোকেনাইজেশন পদ্ধতি -
ক্রেডিট কার্ড এবং ডেবিট কার্ডের ডিটেলস একটি ইউনিক বিকল্প কোডের মাধ্যমে পরিবর্তন করাকে টোকেনাইজেশন বলা হয়। এই টোকেনাইজেশনের মাধ্যমে একবার ক্রেডিট কার্ড অথবা ডেবিট কার্ড দিয়ে কোনও লেনদেন করা হলে, সেই ক্রেডিট কার্ড অথবা ডেবিট কার্ডের নম্বর, সিভিভি নম্বর এবং এক্সপায়ারি ডেট বার বার এন্টার করার দরকার হয় না। এর ফলে যে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইউজাররা শপিং করেন এবং পেমেন্ট করেন, সেখানে তাঁদের ডেটা চুরি হয়ে যাওয়ার ভয় নেই। কারণ সেই কোম্পানির সার্ভার অথবা ওয়েবসাইটে ক্রেডিট কার্ড এবং ডেবিট কার্ডের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সেভ করা থাকবে না।
আরও পড়ুন: খেলনা গাড়ির চাকা ঘুরলে, তবেই সংসার চলে তাদের
এই পদ্ধতি আসার আগে ইউজারদের ক্রেডিট কার্ড এবং ডেবিট কার্ডের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মোবাইল অ্যাপ, অনলাইন শপিং সাইট এবং বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইটে সেভ হয়ে যেত। কিন্তু এই পদ্ধতির মাধ্যমে এখন থেকে ক্রেডিট কার্ড এবং ডেবিট কার্ডের তথ্য আর সেভ করা থাকবে না। এর ফলে বিভিন্ন ধরনের সাইবার ক্রাইম কম হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি। কার্ড টোকেনাইজেশন পদ্ধতির মাধ্যমে গ্রাহকদের কার্ডের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আরও বেশি সুরক্ষিত থাকবে।
খুব সহজে প্রেমেন্ট করা সম্ভব -
গ্রাহকদের সুরক্ষার জন্য চালু করা এই পদ্ধতির বিষয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে যে, নতুন এই পদ্ধতির মাধ্যমে ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে পেমেন্ট করা আরও বেশি সুরক্ষিত হবে। কারণ এই পদ্ধতির মাধ্যমে গ্রাহকদের ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ডের ডিটেলস বিভিন্ন মার্চেন্টদের কাছে আর যাবে না। এই ডেটা টোকেনাইজেশন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কার্ডের নোটব্যাঙ্কেই মজুত থাকবে। এর ফলে যে কেউ গ্রাহকদের ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ডের বিভিন্ন তথ্য সেভ করে রাখতে পারবে না।