মাছের আঁশ দিয়ে তিনি তৈরি করছেন কানের দুল থেকে শুরু করে নানা ধরনের বাড়ির সাজসজ্জার সামগ্রী, যেগুলো ফটো ফ্রেমে সাজিয়ে আরও মনোমুগ্ধকর করে তুলছেন। তাঁর তৈরি সামগ্রীর অভিনবত্ব ও সৌন্দর্য ইতিমধ্যেই স্থানীয় মানুষজনের পাশাপাশি প্রশাসনেরও নজর কেড়েছে। সরকারি মেলাগুলোতে প্রদর্শনী ও বিক্রির মাধ্যমে তিনি শুধু জনপ্রিয়তাই অর্জন করেননি, বরং ধীরে ধীরে নিজেকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: আলু চাষিদের জন্য দারুণ খবর, কমে গেল আলু বীজের দাম! শুনলে এখুনি ছুটে যাবেন কিনতে
স্বনির্ভর দলের সদস্যা কবিতা মাহাতো জানান, “বিভিন্ন মাছের আড়ত থেকে তিনি আঁশ সংগ্রহ করেন। পরে সেগুলো তিনি ভালভাবে পরিষ্কার করে নির্দিষ্ট নকশা অনুযায়ী কেটে নিজের বাড়িতেই তৈরি করেন বিভিন্ন সামগ্রী। পুরুলিয়ার কাশীপুর ব্লক প্রশাসনের প্রশিক্ষণ নিয়ে বিগত ছ–সাত বছর ধরে তিনি এই কাজ শুরু করেন। তার তৈরি পণ্যের চাহিদা কলকাতাতেও পৌঁছেছে। এছাড়াও জেলার সরকারি মেলাগুলোতে এখন তিনি নিয়মিত ডাক পান।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে ভবিষ্যৎ নিয়ে কবিতা দেবীর কিছু দুশ্চিন্তাও রয়েছে। তাঁর কথায়, “একেকটা জিনিস বানাতে প্রচুর পরিশ্রম লাগে। তাই এই কাজ ভবিষ্যতে একইভাবে চালিয়ে যেতে পারব কিনা নিশ্চিত নই। তবে কাশীপুর ব্লক প্রশাসন চাইলে আমি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমাদের দলের সদস্যদের এই কাজ শেখাতে পারব। কিন্তু একা নিজে আর এতটা কাজ করা সম্ভব নয়।” নিজের সৃজনশীলতা, অধ্যবসায় ও আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গী করে কবিতা মাহাতো আজ প্রত্যন্ত গ্রামের বহু নারীর কাছে অনুপ্রেরণার এক দীপ্ত প্রতীক।





