১৯৭৮ সালের পর এটাই সবচেয়ে কম সুদের হার। যা গত ৪৩ বছরে সর্বনিম্ন। সুদের হার কমানোয় হতাশ চাকরিজীবীরা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুদের হার কমালেও এটাই সবচেয়ে ভাল ট্যাক্স এফিসিয়েন্ট উপকরণ, যা নিরাপদ রিটার্ন দেবে।
আরও পড়ুন-রাতে কলা খেলে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে! এই ধারণা কি আদৌ যুক্তিযুক্ত?
যে কোনও কর্মচারীর বেসিক স্যালারি ও ডিএ-র ১২ শতাংশ পিএফ-এ জমা হয়। এই ১২ শতাংশের মধ্যে ৮.৩৩ শতাংশ ইপিএসে (employees’ pension scheme (EPS) জমা হয় এবং বাকি ৩.৬৭ শতাংশ পিএফ অ্যাকাউন্টে জমা হয়। এমপ্লয়ারের শেয়ারের ০.৫০ শতাংশ ইডিএলআই-তে যায়। এখন ধরা যাক কারও মূল বেতন এবং ডিএ হল ১৫ হাজার টাকা। তাহলেই পিএফ-এ তাঁর নিজের অবদান হবে ১২ শতাংশ বা ১ হাজার ৮০০ টাকা। এমপ্লয়ারের তরফে দেওয়া হবে ৫৫০ টাকা। এইভাবে প্রতি মাসে ২,৩৫০ টাকা জমা হবে সেই চাকরিজীবীর অ্যাকাউন্টে।
advertisement
এখন এই ১২ শতাংশ বাদ দিয়ে কর্মচারী তাঁর ইপিএফ অ্যাকাউন্টে আরও বেশি টাকা রাখতে পারেন। তাই একে বলা হয় ভলান্টারি প্রভিডেন্ট ফান্ড। কর্মচারী তাঁর সম্পূর্ণ বেসিক পে ভিপিএফে রাখতে পারেন। অন্যান্য নিয়ম একই থাকে। ইপিএফের মতো এই অতিরিক্ত বিনিয়োগেও একই হারে রিটার্ন পাওয়া যায়। ট্যাক্স ছাড়ের সুবিধাও মেলে। তবে অকাল বা আংশিক প্রত্যাহারে বিধিনিষেধ আছে।
আরও পড়ুন-Holi 2022: রঙের উৎসবে লাগুক সুস্বাদের মৌতাত, দোলে এই খাবারটি না খেলেই নয়
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদী অবসর পরিকল্পনার জন্য ভলান্টারি প্রভিডেন্ট ফান্ডের মাধ্যমে বিনিয়োগ চালিয়ে যাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। ল্যাডার ১৭ ফিনান্সিয়াল অ্যাডভাইসরিজের প্রতিষ্ঠাতা সুরেশ সদাগোপনের কথায়, ‘কিছু অংশ করযোগ্য ধরে নিয়েও বলা যায় এটা করমুক্ত এবং ঝুঁকিমুক্ত রিটার্ন দেবে’। তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সময়ের নিরিখে ৮.১ শতাংশ সুদও যথেষ্ট ভাল। এর সঙ্গে অন্য কিছুর তুলনা হয় না’।
পিপিএফের সঙ্গে তুলনাতেও ভিপিএফ অনেক ভাল, অনেক বেশি আকর্ষণীয়। পিপিএফে এই মুহূর্তে ৭.১ শতাংশ হারে সুদ মিলছে। বর্তমানে ১০ বছরের জি-সেক-এ এই হার ৬.৮৫ শতাংশ। প্ল্যানরুপি ইনভেস্টমেন্ট সার্ভিসেসের প্রতিষ্ঠাতা অমল জোশীরও একই মত। তিনি বলছেন, ‘যাঁরা ভিপিএফে বিনিয়োগ করছেন, তাঁদের এটা চালিয়ে যাওয়া উচিত। কারণ, এই ৮.১ শতাংশ হারে সুদ শুধু পিপিএফ নয়, ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিট, জি-সেকেন্ড এমনকী জীবন বিমার দেওয়া সুদের হারের থেকে অনেক বেশি’।