সম্পত্তির মিউটেশন কী: সম্পত্তির মিউটেশন হল, নতুন মালিকের নামে টাইটেল হস্তান্তরের প্রক্রিয়া। এতে সম্পত্তি কর স্থানান্তর করা হয়। অর্থাৎ এখন থেকে নতুন মালিক সম্পত্তির কর পরিশোধ করবেন। মিউটেশনকে অনেকে ‘দাখিল খারিজ’-ও বলেন। সোজা কথায়, সম্পত্তি বিক্রি বা হস্তান্তর করার সময় একজনের থেকে অন্যজনকে মালিকানা দেওয়ার প্রক্রিয়া।
আরও পড়ুন: রান্না-ফুল-ভালবাসা-বিয়ে এমনকী কম্পিউটার দেখেও ভয় পান অনেকে, রীতিমতো ‘ফোবিয়া’! বিশ্বাস করা কঠিন
advertisement
মিউটেশন কেন গুরুত্বপূর্ণ: মিউটেশনের গুরুত্ব প্রায় রেজিস্ট্রেশনের সমান। এটা শুধু কর্তৃপক্ষকে নয় নতুন মালিককেও বেশ কিছু সুবিধা দেয়। ক) মিউটেশন রেকর্ড সরকারি কর্তৃপক্ষকে সঠিক মালিকের কাছ থেকে সম্পত্তি কর এবং অন্যান্য শুল্ক আদায়ে সহায়তা করে। খ) জমির রেকর্ডে কোনও ত্রুটি থাকলে বা সংশোধন করতে হলে মিউটেশন রেকর্ড কাজে আসে। সম্পত্তির বিরুদ্ধে অননুমোদিত লেনদেনের রিপোর্ট করতেও সাহায্য করে মিউটেশন রেকর্ড। গ) সম্পত্তি বিক্রি করতে চাইলে মিউটেশন রেকর্ড দরকার। ঘ) কৃষি সম্পত্তির ক্ষেত্রে মিউটেশন সার্টিফিকেট ছাড়া জমি বিক্রি করা যায় না। ঙ) এটাই সম্পত্তির মালিকানার প্রমাণ হিসেবে কাজ করে।
সম্পত্তির মিউটেশনের জন্য আবেদনের পদ্ধতি: পুরসভায় সম্পত্তির মিউটেশন করা হয়। বর্তমানে অনেক রাজ্যেই অনলাইনে মিউটেশন প্রক্রিয়ার জন্য আবেদন করা যায়। এর ফলে পুরসভার অফিসে আর যাওয়ার দরকার নেই। মিউটেশন প্রক্রিয়ার অনলাইন আবেদনের জন্য বিহার সরকার বিহার ভূমি পোর্টাল চালু করেছে। একইভাবে, উত্তরপ্রদেশ সরকার চালু করেছে ই-নগরসেবা পোর্টাল।
মিউটেশন এবং রেজিস্ট্রেশনের পার্থক্য: সম্পত্তির রেজিস্ট্রেশন এবং মিউটেশন অনেকটা একইরকম। তবে পার্থক্যও রয়েছে। সম্পত্তি বিক্রির সময় ক্রেতাকে স্ট্যাম্প শুল্ক এবং রেজিস্ট্রেশন চার্জ সংশ্লিষ্ট রাজ্যের জমি ও রাজস্ব বিভাগে জমা দিতে হয়। স্ট্যাম্প ডিউটি এবং রেজিস্ট্রেশন চার্জ এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে আলাদা। এই চার্জ দিলেই রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়। এর সঙ্গে ‘সেল ডিড’-ও থাকে।
অন্য দিকে, সম্পত্তির মিউটেশন হয় এরপর। এর জন্য এক বছর সময় লাগতে পারে। সম্পত্তির কাগজপত্র নিজের নামে মিউট করানো ক্রেতার দায়িত্ব। এর জন্য ভূমি ও রাজস্ব বিভাগে যেতে হবে। সেখানেই সম্পত্তির মিউটেশন করা হয়।